সিবিএসের খবর
ট্রাম্পের অ্যাসাইলাম নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভিবাসী বিতাড়ন বন্ধের নির্দেশ

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৫ ২০২৫, ২০:৫৪

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের দিন ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি মেক্সিকোর মাতামোরোস দিয়ে বি অ্যান্ড অ্যাম ব্রাউনসভিল-মাতামোরোস ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজে সিবিপির সঙ্গে নির্ধারিত সাক্ষাৎকারে আসেন আশ্রয়প্রত্যাশীরা। ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের দিন ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি মেক্সিকোর মাতামোরোস দিয়ে বি অ্যান্ড অ্যাম ব্রাউনসভিল-মাতামোরোস ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজে সিবিপির সঙ্গে নির্ধারিত সাক্ষাৎকারে আসেন আশ্রয়প্রত্যাশীরা। ছবি: রয়টার্স

  • 0

নতুন নির্দেশের মাধ্যমে দ্রুত বিতাড়নের কৌশল থেকে সরে এলো প্রশাসন।

অ্যামেরিকায় আশ্রয়ের অনুরোধ বা অ্যাসাইলাম ক্লেইমের ওপর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভিবাসীদের বিতাড়ন বন্ধ করতে বর্ডার এজেন্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের দুই কর্মকর্তার বরাতে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।

আশ্রয় অনুরোধের ওপর ট্রাম্প যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, তা নিয়ে ফেডারেল এক আদালত আদেশ দিয়েছে।

সে আদেশে বলা হয়, ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার ওপর ভর করে আশ্রয়প্রত্যাশীদের সুরক্ষা কর্মসূচি পুরোপুরি স্থগিত করা যাবে না। আদালতের সে আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ডার এজেন্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে অ্যামেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে আশ্রয়ের অনুরোধের সুযোগ বন্ধ করে দেন ট্রাম্প। অনুমোদনহীন অভিবাসী বিতাড়ন ত্বরান্বিত করতে তার প্রশাসন এ ব্যবস্থা নেয়।

নতুন নির্দেশের মাধ্যমে দ্রুত বিতাড়নের এ কৌশল থেকে সরে এলো প্রশাসন।

পরিধির দিক থেকে দেখতে গেলে অভিবাসীদের ওপর ট্রাম্পের কঠোর ব্যবস্থা নজিরবিহীন। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরেই তিনি সীমান্তে আসা অভিবাসীদের দ্রুত বিতাড়নে ব্যবস্থার ঘোষণা দেন।

ট্রাম্পের ঘোষণার ফলে আশ্রয়ের অনুরোধের সুযোগ না দিয়েই অভিবাসীদের তাৎক্ষণিক বিতাড়নের এখতিয়ার পান সীমান্তের কর্মকর্তারা। যদিও আশ্রয়ের জন্য আবেদনের এ সুযোগ কয়েক দশক ধরে বলবৎ ছিল অ্যামেরিকান আইনে।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের দাবি, জো বাইডেনের সময় অভিবাসীদের ‘বহিরাক্রমণের’ শিকার হয়েছে অ্যামেরিকা। এর ফলে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ রেকর্ড হারে বেড়েছে। এটি ঠেকাতে অপরিহার্য ছিল আশ্রয় আবেদনের সুযোগ না দিয়ে বিতাড়নের ব্যবস্থাটি।