নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন ঘিরে বুধবার আবারো উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকা। এই দিনটি ঘিরে আগে থেকেই বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থীরা।
ট্রাম্প প্রশাসনকে সহায়তা করা এবং গাযা বিষয়ে ইউনিভার্সিটির অবস্থানের প্রতিবাদে এদিন, সাবেক শিক্ষার্থীরা নিজেদের সনদ ছিঁড়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন।
ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থীরা, মাহমুদ খলিলের মুক্তির পাশাপাশি, প্যালেস্টাইনকে ইযরায়েলের আগ্রাসন থেকে মুক্ত করার পক্ষে স্লোগান দেন তারা।
ডেইভিড নামে এই ব্যক্তি ১৯৬০ সালে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে মলিকিউলার বায়োলজিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে করেছেন। তিনি বলছেন, কলাম্বিয়া, ট্রাম্প প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে ভিতুর মতো রাজি হওয়ায়, তিনি লজ্জিত।
সাবেক শিক্ষার্থীদের সাথে, অনেক অভিভাবকও এদিন বিক্ষোভে অংশ নেন। প্যাম স্পর্ন নামে এই নারী তাদের একজন। তিনি বলছেন, গাযায় গণহত্যার প্রতিবাদ করায়, তাঁর মেয়েসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সাথে কলাম্বিয়া ও বার্নার্ড কলেজ যে আচরণ করেছে, তাতে তিনি ক্ষুব্ধ।
ডেইভিড আশা করেন, তাদের এই বিক্ষোভ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে ভালো আচরণ করতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসনের ওপর সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চাপ বাড়াবে।
এদিন, বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এরপর বেশ কয়েকজনকে আটক করেন এনওয়াইপিডির কর্মকর্তারা।
এছাড়া, আগের দিনের মতো, এদিনও বক্তব্য দেয়ার সময় বিদ্রুপের শিকার হন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ক্লেয়ার শিপম্যান। তবে এদিন, বিদ্রুপে আগের দিনের চেয়ে কম শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
বিদ্রুপের মাঝেই, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট শিপম্যান। তিনি মনে করেন, অন্য শিক্ষার্থীদের মতো তাঁর প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সমান স্বাধীনতা রয়েছে এবং প্রশাসনের কোনোভাবেই তাতে হস্তক্ষেপ করা উচিৎ না।