পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে গত মাসের সামরিক সংঘাতের পর প্রতিরক্ষা খরচ ব্যাপক হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রতিরক্ষায় ব্যয় ২০ শতাংশ বাড়াবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি, তবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার সার্বিক ব্যয় কমাবে সাত শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার মঙ্গলবার বাজেট উপস্থাপন করে। এতে ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এক বছরে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই দশমিক ৫৫ ট্রিলিয়ন রুপি বা ৯ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে এ খাতে বরাদ্দ ছিল দুই দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন রুপি।
বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপি ঘাটতি ধরা হয় তিন দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ছিল পাঁচ দশমিক ৯ শতাংশ। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা চার দশমিক দুই শতাংশ ধরা হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তান চায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। গত প্রায় তিন দশকের মধ্যে প্রতিবেশীর সঙ্গে সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধের পর দেশটি বাড়াচ্ছে প্রতিরক্ষার ব্যয়।
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধে নিজেদের জয়ী বলে দাবি করে পাকিস্তান।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রচলিত যুদ্ধে ভারতকে হারানোর পর এখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একে (ভারত) ছাড়িয়ে যেতে হবে আমাদের।’