অভিবাসীকে যেভাবে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার করল আইস

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৭ ২০২৫, ১৮:৪৫

প্রায় ৩০ বছর ধরে অ্যামেরিকায় থাকেন অ্যাবেল ওরোজকো। ছবি: এনবিসি নিউজ

প্রায় ৩০ বছর ধরে অ্যামেরিকায় থাকেন অ্যাবেল ওরোজকো। ছবি: এনবিসি নিউজ

  • 0

ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসীদের কীভাবে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করছে, তার বড় ধরনের উদাহরণ ওরোজকোর গ্রেপ্তারের ঘটনাটি। এ গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলেছেন অভিবাসী সুরক্ষাকর্মীরা।

শিকাগোর বাসিন্দা অ্যাবেল ওরোজকো অ্যামেরিকায় থাকেন প্রায় ৩০ বছর ধরে। অভিবাসী এ বাবার নেই অপরাধের কোনো রেকর্ড। তবুও তাকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইস।

ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসীদের কীভাবে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করছে, তার বড় ধরনের উদাহরণ ওরোজকোর গ্রেপ্তারের ঘটনাটি। এ গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলেছেন অভিবাসী সুরক্ষাকর্মীরা।

এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রায় ছয় মাস আগে গ্রেপ্তার করা হয় অনথিবদ্ধ অভিবাসী অ্যাবেল ওরোজকোকে।

ন্যাশনাল ইমিগ্র্যান্ট জাস্টিস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, আইসের এজেন্টরা কোনো পরোয়ানা না নিয়ে ওরোজকোর বাড়ির পেছনে তার গাড়ি বারান্দায় যান।

এ অভিবাসীর আইনজীবীর মতে, এজেন্টরা প্রথমে ওরোজকোর অভিবাসী বড় ছেলের খোঁজ করেন, কিন্তু তাকে না পেয়ে বাবাকে গ্রেপ্তার করেন তারা।

আইনজীবীর ভাষ্য, ওরোজকো গাড়ি বারান্দায় তার গাড়িটির রাখামাত্র জোর করে দরজা খোলেন এজেন্টরা। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাতকড়া পরিয়ে আইসের একটি গাড়িতে ওঠানো হয়।

ন্যাশনাল ইমিগ্র্যান্ট জাস্টিস সেন্টারের মামলাবিষয়ক সহযোগী পরিচালক মার্ক ফ্লেমিং বলেন, গ্রেপ্তারের ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর আইসের এজেন্টরা বুঝতে পারলেন, তারা সঠিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেননি। তা সত্ত্বেও তারা তাকে ছাড়ার পরিবর্তে হাতকড়া পরিয়ে রাখলেন। পরবর্তী সময়ে তারা দাবি করলেন, এমন একটি পরোয়ানার ভিত্তিতে ওরোজকোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার অস্ত্বিত্ব নেই।

এখনও বন্দি রয়েছেন ওরোজকো। তার মুক্তি চাইছেন আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা।

ফ্লেমিং বলেন, ওরোজকোকে অবৈধভাবে আটক করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আইস এজেন্টরা কীভাবে বিভিন্ন ধাপ বাদ দিয়ে লোকজনকে বিতাড়নের সম্ভাব্য কারণ বের করেন, তা উঠে এলো।

তিনি আরও বলেন, আইস এজেন্টরা অ্যামেরিকার এমন লোকজনকে ত্বরিত গ্রেপ্তার করছেন, যাদের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত।

ওরোজকোকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদন লেখার সময় আইসের উত্তর পায়নি এনবিসি।