তিনি রোববার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে রাশিয়া, চায়না ও ইরান কোনো অ্যামেরিকানকে বিশেষ করে অ্যামেরিকান সেনাকে বন্দি করলে মুক্তির বিনিময়ে যথাযত মূল্য দাবি করে।’
ম্যাককাল জানান, এ কারণে তিনি আশঙ্কা করছেন যে ট্র্যাভিসকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে নর্থ কোরিয়াকেও কিছু দিতে হবে।
২৩ বছর বয়সী ট্র্যাভিস গত সপ্তাহে সাউথ কোরিয়া থেকে অ্যামেরিকায় ফেরার পথে সিউল বিমানবন্দরে নেমে একটি ট্রাভেল গ্রুপের সঙ্গে সাউথ ও নর্থ কোরিয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় ঘুরতে যান। এক পর্যায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন।
এরপর থেকে কিংয়ের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো খবর নর্থ কোরিয়া অ্যামেরিকাকে জানায়নি।
এর আগে স্থানীয়দের সঙ্গে হাতাহাতির অভিযোগে সাউথ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ তাকে প্রায় দুই মাস বন্দি করে রাখে। সম্প্রতি সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে অ্যামেরিকায় ফেরার কথা ছিল। এরপর তার বিরুদ্ধে ‘ভিনদেশে শৃঙ্খলা ভঙ্গে দোষি সাব্যস্ত হওয়ায়’ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হতো।
ধারণা করা হচ্ছে, অ্যামেরিকায় সাজা এড়াতে ট্র্যাভিস নর্থ কোরিয়া চলে যেতে চেয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ম্যাককাল বলেন, ‘তিনি (ট্র্যাভিস) আসলে তার সমস্যা থেকে দূরে পালাতে এ কাজ করে বসেন।’
নর্থ কোরিয়ায় বন্দিদশায় ট্র্যাভিস খুব একটা ভালো নেই বলে ধারণা ম্যাককালের। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তিনি (নর্থ কোরিয়ায় পালানোর) গুরুতর ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আশা করি তাকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব।’