ঋণের পাহাড়, স্বাস্থ্য বীমার সংকট: ট্রাম্পের বাজেট বিল নিয়ে নতুন সতর্কতা

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৪ ২০২৫, ১৭:০০

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং হাউস স্পিকার মাইক জনসন। ছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং হাউস স্পিকার মাইক জনসন। ছবি: রয়টার্স

  • 0

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ বিউটিফুল’ বাজেট বিল নিয়ে কংগ্রেসের বাজেট অফিস থেকে নতুন সতর্কতা এসেছে। এই বিলের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল জাতীয় ঋণসীমায় দুই দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলার যুক্ত করতে পারে বলে জানিয়েছে বাজেট অফিস। এছাড়াও উচ্চাকাঙ্খি এই বিলের প্রভাবে স্বাস্থ্য বীমা থেকে বঞ্চিত হবে ১১ মিলিয়ন মানুষ।

দ্বিদলীয় কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের এক পর্যালোচনায় বুধবার এই তথ্য উঠে এসেছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ বিউটিফুল’ বাজেট বিল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা প্রায় ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে কংগ্রেসের দ্বিদলীয় বাজেট অফিস-সিবিও। বুধবার প্রকাশিত এক পর্যালোচনায় বাজেট অফিস এই তথ্য জানিয়েছে।

এই উচ্চাকাঙ্খি বাজেট বিল স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক খাতে ব্যাপক খরচের কথা বলেছে। তবে একই সঙ্গে, পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, বিল কার্যকর হলে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষ স্বাস্থ্য বীমার আওতায় থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

বাজেট অফিসের মতে, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই বিল দেশের ঋণসীমার সীমাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে এবং এতে সামগ্রিক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত বিলটির সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রভাবের পূর্ণ বিশ্লেষণ দেওয়া হয়নি।

এই বাজেট বিল স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষায় বড় ধরনের বিনিয়োগের কথা বলা হলেও, এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সরকারের খরচ বৃদ্ধির প্রভাব ও কর কাঠামোর পরিবর্তনের প্রস্তাব।

বাজার ও রাজনৈতিক মহলে এই বিল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা দাবি করছেন, বিলটি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

অন্যদিকে, বিরোধী দল এবং অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, ঋণসীমা বৃদ্ধির ফলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সংকটাপন্ন হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাজেট অফিসের পর্যালোচনা প্রকাশের ঠিক আগে হোয়াইট হাউস থেকে বিলটির পক্ষে সমর্থন জানানো হয়েছে। প্রেসস সেক্রেটারি বলেছেন, ‘এই বাজেট বিল জাতির জন্য নতুন সুযোগ এবং উন্নয়নের পথ সুগম করবে।’

এখন কংগ্রেসের সামনে বিলটি নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনা চলছে। আইনের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে বাজেট অফিসের আরও বিশদ বিশ্লেষণ এবং রাজনৈতিক আলোচনা প্রয়োজন হবে।