
ব্রিটেনে ১২০টিরও বেশি ফ্লাইট বিপর্যয়

বাসস
প্রকাশিত: জুলাই ৩১ ২০২৫, ১১:১২
.jpg)
ফ্লাইট বিপর্যয়ের ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। ছবি: ইনডিপেন্ডেন্ট
- 0
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৭টি ছাড়ার ফ্লাইট এবং ৫৫টি আগমনী ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ব্রিটেনের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এনএটিএস)-এর কারিগরি ত্রুটির কারণে বুধবার দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে ১২০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বিত হয়েছে। এই ঘটনা বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
এএফপি জানিয়েছে, ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডনের হিথ্রো,গ্যাটউইক এবং এডিনবরাসহ একাধিক বিমানবন্দর এ সমস্যার কবলে পড়ে। কারিগরি সমস্যার কারণে লন্ডনের আকাশসীমায় উড়োজাহাজের সংখ্যা সীমিত করে দেওয়া হয়। তবে ত্রুটিটি দ্রুত সমাধান করা হয়।
বিমান চলাচল বিশ্লেষক সংস্থা সিরিয়াম জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ৬৭টি ছাড়ার ফ্লাইট এবং ৫৫টি আগমনী ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। অনেক ফ্লাইটকে অন্যত্রও পাঠানো হয়েছে।
রায়ানএয়ারের সিওও নীল ম্যাকমাহন এই ব্যর্থতার জন্য এনএটিএস-এর প্রধান নির্বাহী মার্টিন রোল্ফকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ম্যাকমাহন বলেছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে যাত্রীরা আবারও বিলম্ব এবং ব্যাঘাতের শিকার হচ্ছেন। এটা স্পষ্ট যে ২০২৩ সালের আগস্টে এনএটিএস-এর সিস্টেম বিভ্রাটের পর থেকে কোনও শিক্ষা নেওয়া হয়নি।
২০২৩ সালে এনএটিএস দেশের প্রায় ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সিস্টেম ব্যর্থতার শিকার হয়েছিল। যার ফলে হাজার হাজার যাত্রী বিপাকে পড়েছিলেন।
ইজিজেটের সিওও ডেভিড মরগান বলেছেন যে ‘ভ্রমণের জন্য বছরের এই ব্যস্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের গ্রাহকদের জন্য ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী ব্যর্থতা আবার দেখা অত্যন্ত হতাশাজনক।’
পরিবহন বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কারিগরি ত্রুটিটি এনএটিএসের দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সোয়ানউইক অঞ্চলের কন্ট্রোল সেন্টারে দেখা দেয়।
এক ঘণ্টা পর জানানো হয় যে সিস্টেম পুরোপুরি সচল হয়েছে এবং সব বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল আবার শুরু হয়েছে।