অ্যামেরিকার ভিসা, গ্রিন কার্ড পেতে উত্তীর্ণ হতে হবে যে ‘পরীক্ষায়’

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২১ ২০২৫, ৮:৫২ হালনাগাদ: নভেম্বর ৫ ২০২৫, ২:৫৪

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিধিমালার ওপর সর্বশেষ কঠোর পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে এটি। ছবি: সিএনএন

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিধিমালার ওপর সর্বশেষ কঠোর পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে এটি। ছবি: সিএনএন

  • 0

অ্যামেরিকান ভিসা ও গ্রিন কার্ড প্রত্যাশীদের দিতে হবে অ্যান্টি-অ্যামেরিকান পরীক্ষা।

অ্যামেরিকায় বৈধভাবে কাজ বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারী অভিবাসীদের এখন ‘অ্যামেরিকার বিরোধী’ আচরণের বিষয়ে স্ক্রিনিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস)মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ওয়াশংটন পোস্ট জানায়, ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস কর্মকর্তারা ভিসা ও গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদনকারীরা অ্যামেরিকান-বিরোধী, ইহুদি-বিরোধী বা সন্ত্রাসী দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করছে কি না সে বিষয়টি মূল্যায়ন করবেন।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, কর্মকর্তারা যাচাই করবেন যে গ্রিন কার্ড বা অন্যান্য সুবিধার জন্য আবেদনকারীরা ‘অ্যামেরিকার বিরোধী’মনোভাব পোষণ করছে কি না, বা কোনো সন্ত্রাসী বা অ্যামেরিকার বিরোধী সংগঠনের মনোভাব সমর্থন করেছে কি না, যার মধ্যে ইহুদি বিদ্বেষও অন্তর্ভুক্ত।’

ইউএসসিআইএস বলেছে, আবেদেনকারীদের সামাজিক মাধ্যমের কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই নীতি আবেদন প্রক্রিয়াকে ধীর করতে পারে এবং অভিবাসীদের রাজনৈতিক বা সামাজিক বিষয় নিয়ে মুখ খোলা নিয়ে ভীতি তৈরি করতে পারে।

স্পষ্টত এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন সীমিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইউএসসিআইএসের মুখপাত্র ম্যাথিউ ট্রাগেসার নতুন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘যারা দেশকে ঘৃণা করে এবং অ্যান্টি-অ্যামেরিকান মত প্রচার করে, তাদেরকে অ্যামেরিকার সুবিধা দেওয়া উচিত নয়।’

অ্যামেরিকায় বসবাস ও কাজ করার অধিকার—একটি সুবিধা, অধিকার নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাগেসার আরও বলেন, অভিবাসন সংস্থাটি অ্যামেরিকা-বিরোধী মনোভাব নির্মূল করার নীতি ও পদ্ধতি বাস্তবায়নে এবং যথাসম্ভব কঠোর স্ক্রিনিং এবং যাচাই-বাছাই ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইউএসসিআইএস সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি।

ট্রাম্পের নতুন নীতিতে অ্যামেরিকা-বিরোধীতা কী তা সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে যে এতে ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসবাদ, ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ইহুদি-বিরোধী মতাদর্শ সমর্থনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিধিমালার ওপর সর্বশেষ কঠোর এই পদক্ষেপ অভিবাসী এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অ্যামেরিকায় আসার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বছরে ১০ লাখ অভিবাসীকে বিতাড়নে জন্য একটি বৃহৎ অভিযান শুরু করেছেন।

নাগরিকত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে কিছু ব্যক্তির অ্যামেরিকান নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ ছাড়া, এপ্রিল মাসে ইউএসসিআইএস ঘোষণা করেছে যে তারা অভিবাসীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইহুদি-বিরোধী কার্যকলাপ নজরদারি করবে এবং ভিসা বা গ্রিন কার্ড আবেদন প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসেবে সেই পোস্ট ব্যবহার করা হতে পারে।