প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চাটার্ড ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করে।

সেখানে জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়ামাদা কেনজি ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। লাল গালিচায় সংবর্ধনার পর তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

জাপান, অ্যামেরিকা ও বৃটেইনে ১৫ দিনের সরকারি সফরের প্রথম পর্যায়ে টোকিওর উদ্দেশে মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে টোকিওর সঙ্গে আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে জানান, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধাস্বত্ব, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিনিয়োগ সম্মেলন এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।

মোমেন জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ড অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ সম্মাননা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও কিছু কর্মসূচি শেষে জাপান ত্যাগ করে পয়লা মে অ্যামেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে ৪ মে বৃটেইনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও রাণী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকে যোগ্য দিতে লন্ডন যাবেন তিনি। সফর শেষে আগামী ৯ মে ঢাকা পৌঁছবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন তার বোন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।