ফ্রেঞ্চ অফিশিয়াল গেজেটে বলা হয়, ‘১৪ জুলাই জাতীয় দিবস উদযাপনের সময় জনশৃঙ্খলার গুরুতর বিঘ্ন ঘটার ঝুঁকি রোধে ১৫ জুলাই পর্যন্ত যে কোনো ধরনের বিস্ফোরক সামগ্রী ও আতশবাজি বিক্রি, বহন, পরিবহন এবং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।’
তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত অফিশিয়াল আতশবাজি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞার ব্যতিক্রম হবে।
গত মাসে নান্টেরেতে কিশোর নাহেল হত্যাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সজুড়ে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় সহিংসতার অন্যতম মাধ্যম ছিল আতশবাজি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রেঞ্চ কর্তৃপক্ষ। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন বলেন, আতশবাজির উপর বিধিনিষেধ ছাড়াও, ফ্রান্সে শান্তি বজায় রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
লে প্যারিসিয়েন সংবাদপত্রকে তিনি জানান, জাতীয় দিবসে যে কোনো ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
ফ্রান্সের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে ৩,৭০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ।
ব্যাস্টিল ডে ২০০ বছর আগে হওয়া ফ্রেঞ্চ রেভ্যুলেশনের সূচনাকে বোঝায়।