কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা
টিবিএন ডেস্ক
এপ্রিল ৩০ ২০২৩, ১৬:৫১
- 0
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে।
ওয়াশিটন ডিসির দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে শনিবার বিকেলে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। বাসস জানায়, আলোচনাকালে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়া হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন পরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি।’
আইএমএফ সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্যে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ব্যাপক প্রশংসা করেছেন আইএমএফের এমডি, যা কোভিড-নাইন্টিন মহামারির পরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে তুলেছে।’
মোমেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোলমডেল (সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে), কারণ দেশটি এমনকি করোনা মহামারির পরেও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে।’
আইএমএফ প্রধান বলেন, সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন ও দক্ষ যোগাযোগ এবং আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ক্রিস্টালিনা কোভিড-নাইন্টিন মহামারির সময় সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখারও প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন একদিনে হয়নি বরং এটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফল।’
শেখ হাসিনা বলেন, পট পরিবর্তনের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চেয়েছেন সেভাবে তার পরিকল্পনা করেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশা করেন।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ বলেন, ‘গত ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইএমএফ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কাজ করছে যা বাংলাদেশ মাত্র দুই সপ্তাহের আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছে। অনেক দেশ বছরে পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়েও এটি পায় না।’
আইএমএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করে রউফ বলেন, ‘আইএমএফ ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
ব্রিফিংয়ে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।