এই বছর জানুযারি মাসে ফেডারেল গোয়েন্দারার হিউয়েরমানের ফেলে দেয়া একটি পিৎজা বক্স উদ্ধার করেন। পিৎজার ক্রাস্ট থেকে ডিএনএ নিয়ে মৃতদেহের চুলের ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। ওই ডিএনএর সঙ্গে হিউয়ারমানের ডিএনএ মিলে গেলে তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চারটি খুনের ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে। যেমন চারজনই নিখোঁজ হওয়ার আগে ‘বার্নার’ সেল ফোন ব্যবহার করা এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আর সেই সেল ফোনের ডাটাই তদন্তের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল।
তদন্তকারীরা বার্নার সেলফোন ট্র্যাক করে দেখতে পান যে নিহত চারজনের তিনজনের সঙ্গেই সেই সেলফোন ব্যবহারকারী দেখা করেছিল। এমনকি সেই একই সেল ফোনের মাধ্যমে বার্থেলেমির বোনকেও কল করে নোংরা ইঙ্গিত দেয়া হতো।
হিউয়েরমান তার বার্নার সেলফোন ব্যবহার করে যৌন কর্মী, নির্যাতনমূলক পর্ণগ্রাফি ও শিশু পর্ণগ্রাফির সার্চ করত। এছাড়া তিনি সক্রিয় ও পরিচিত সিরিয়াল কিলার ও গিলগো বিচে খুন হওয়া অন্যান্যদের বিষয়েও সার্চ করত।
আদালতের রেকর্ডে বলা হয়েছে, হিউয়ারমানের ইমেইল ঘেটে দেখা গেছে তিনি আপত্তিকর সেলফি তুলে সেগুলো ব্যবহার করে অন্যন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে যৌন কার্যকলাপের জন্য অনুরোধ করত।
সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, হিউয়েরম্যানের বিরুদ্ধে মেলিসা বার্থেলেমি, মেগান ওয়াটারম্যান ও অ্যাম্বার কস্টিলো নামের তিন নারীকে হত্যার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
লং আইল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এই তিন নারীর মরদেহ চট দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ওই একই সময়ে একই স্থানে ১১ ডিসেম্বর এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। দুইদিন পর ঘটনাস্থলের আশপাশে পাওয়া যায় আরও তিন মরদেহ। পরের বছর মার্চ ও এপ্রিলে আরও পাঁচ মরদেহ সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। সে সময় স্থানীয়দের মধ্যে সিরিয়াল কিলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।