ভারতের বিহার রাজ্যের পূর্ণিয়া জেলার তেতগামা গ্রামে কালোজাদু করেছে এমন সন্দেহে রবিবার একই পরিবারের পাঁচজনকে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ তিনজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার পেছনে অন্ধবিশ্বাস ও গুজবকে দায়ী করেছে পুলিশ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেতগামা গ্রামটিতে ওরাঁও আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসতি রয়েছে। সদর পূর্ণিয়ার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) পঙ্কজ কুমার শর্মা বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি পাঁচজনকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তারা জীবিত অবস্থায় পুড়েছিলেন, না কি মৃত্যুর পর আগুন দেয়া হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
পুলিশ জানায়, নিহত পরিবারের ১৬ বছর বয়সী কিশোর সোনু কুমার ঘটনার দিন আত্মীয়ের বাড়িতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। পরে সে পুলিশকে খবর দেয় এবং চারজন প্রধান অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে।
সোনু কুমার ফোন করে পুলিশকে জানায়, ওরাওঁ সম্প্রদায়ের কিছু লোক তাদের পরিবারকে পিটিয়েছে এবং গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচজনের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের দাবি, তিনদিন আগে প্রতিবেশী রামদেব ওরাওঁ-র সন্তানের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পেছনে কালোজাদুকে দায়ী করা হয়। প্রতিবেশী কালোজাদু করেছে এমন সন্দেহে ওই পাঁচজনকে দায়ী করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।