মরণাপন্ন রোগীদের স্বেচ্ছা মৃত্যুর বৈধতা দিলেন হোকুল

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮ ২০২৫, ০:৫১

নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল। ছবি: রয়টার্স

নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল। ছবি: রয়টার্স

  • 0

প্রস্তাবে উল্লেখিত চুক্তি অনুযায়ী, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি যার ৬ মাসের ভিতর মৃত্যু হবে তারা চিকিৎসকের সহায়তায় প্রাণনাশ ওষুধ গ্রহণের আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে রোগীকে জোর করা হচ্ছে না, সেটি নিশ্চিত করতে দুজন ব্যক্তির স্বাক্ষর নিতে হবে।

নিউ ইয়র্কে শর্ত মেনে মরণাপন্ন রোগীদের চিকিৎসকের সহায়তায় স্বেচ্ছা মৃত্যুর বৈধতা দিতে যাচ্ছেন স্টেইট গভর্নর ক্যাথি হোকুল।

আইউইনেস নিউজ জানায়, বুধবার স্টেইটের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন হোকুল।

তিনি জানান, বেশ কিছু শর্ত উল্লেখ করে তিনি বৈধতা প্রদানের প্রস্তাবে স্বাক্ষর স্বাক্ষর করবেন।

প্রস্তাবে উল্লেখিত চুক্তি অনুযায়ী, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি যার ৬ মাসের ভিতর মৃত্যু হবে তারা চিকিৎসকের সহায়তায় প্রাণনাশ ওষুধ গ্রহণের আবেদন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে রোগীকে জোর করা হচ্ছে না, সেটি নিশ্চিত করতে দুজন ব্যক্তির স্বাক্ষর নিতে হবে। পরে আবেদনটি তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক ও একজন পরামর্শন অনুমোদন দিলে, সেটি গ্রহণ হবে।

রোগী স্থিতিশীল অবস্থায় স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুরোধ জানিয়েছেন কি না, সেটি একজন মনোবিদ কর্তৃক যাচাই করা হবে।

আবেদন অনুমোদনের পর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে বাধ্যতামূলক ৫দিন অপেক্ষা করতে হবে। আবেদনের লিখিত ও মৌখিক রেকর্ড রাখতে হবে।

তবে ধর্মীয় হাসপাতালগুলো চাইলে এ প্রস্তাব চালু নাও করতে পারি।

পাস হওয়া প্রস্তাবটি শুধু নিউ ইয়র্কারদের জন্য কার্যকর হবে।

নিউ ইয়র্কে ২০১৬ সালে প্রথম মরণাপন্ন রোগীদের স্বেচ্ছা মৃত্যুর বিষয়টি আলোচনায় আসে।

ওই সময় নিউ ইয়র্ক স্টেট ক্যাথলিক কনফারেন্সসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের চাপে প্রস্তাবটি নাকচ হয়।

এবার ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী হোকুল জানান, তিনি অনেক মরণাপন্ন নিউ ইয়র্কার ও তাদের সন্তানদের কাছে দুঃখ ও যন্ত্রণাকাতর দিনের কথা শুনে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘ঈশ্বর দয়ালু এবং আমাদেরও তেমন হতে হবে। এর মধ্যে তারাও অন্তর্ভুক্ত যারা পরিস্থিতির স্বীকার এবং জীবনের শেষ কয়েক মাস স্বস্তি চাইছেন।‘

হোকুলের এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের ক্যাথলিক উপাসনালয়ের ধর্মযাজক কার্ডিনাল তিমোথি দোলান ও খ্রিষ্টান ধর্মের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা।

তাদের ভাষ্য, কেউ অক্ষম বলে তার আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। এ প্রস্তাব সবচেয়ে অসহায় নাগরিকদের সরকার বাতিল করছে বলে জানান দিবে।

একই সঙ্গে চিকিৎসকদের রোগমুক্তি করার ভূমিকাকে হীন করে তুলবে।

তবে এ প্রস্তাব পাস হওয়ার পর আগামী বছর আইন হিসেবে গৃহীত করা হবে বলে জানান হোকুল।