ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান ফ্রান্সের

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৯ ২০২৫, ৮:০৬

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট  ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ছবি: পলিটিকো

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ছবি: পলিটিকো

  • 0

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি সমগ্র অঞ্চলে সকলের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় বলে মনে করেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে দেয়া ভাষণে গাজায় নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ফ্রান্সের সাথে একসাথে কাজ করার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তিনি এই পদক্ষেপকে শান্তির একমাত্র পথ হিসেবে অভিহিত করেন।

ম্যাক্রোঁ বলেছেন, গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় এবং পশ্চিম তীরে প্রতিদিন আক্রমণের শিকার হওয়া সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কখনও ঝুঁকির মুখে পড়েনি। এবং এ কারণেই দুটি রাষ্ট্রের এই সমাধান এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি সমগ্র অঞ্চলে সকলের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায়।

এদিকে গাজায় মানবিক সংকট অব্যাহত থাকলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি মঙ্গলবার পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।

অ্যামেরিকা ও ইসরায়েলের সমর্থনে গঠিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএফএইচ) নামের ত্রাণ সরবরাহব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে ল্যামি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি—এই ফাউন্ডেশনকে আমরা সমর্থন করি না। এটা কার্যকরভাবে কাজ করছে না। অনেক মানুষ এখনো অনাহারে, অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন।’

গাজায় এই অসহনীয় পরিস্থিতি চলতে থাকলে ব্রিটেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কি না এক আইনপ্রণেতার এমন প্রশ্নের জবাবে ল্যামি সম্মতিসূচক জবাব দিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, নেব।’

গত মাসে যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে একযোগে ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও বেজালেল স্মোটরিচের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেয়ার দায়ে তাদের ওপর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।

এর আগেই যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা স্থগিত করে। গাজা অবরোধ ঘিরে খাদ্যসংকট শুরু হলে লন্ডন থেকে কিছু অস্ত্র রপ্তানিও বন্ধ রাখা হয়।

ল্যামি বৈঠকে বলেন, পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ ও দখলদারি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তবে যুক্তরাজ্যের চাপ প্রয়োগে তেল আবিবের আচরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে কি না—এমন প্রশ্নে ল্যামি স্বীকার করেন, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিবর্তন আসেনি।

যুক্তরাজ্য একতরফাভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায় না জানিয়ে ল্যামি বলেন, ‘আমরা চাই এই স্বীকৃতি এমন এক সময়ে আসুক, যখন তা বাস্তব সমাধানের পথ তৈরি করতে সহায়ক হবে।’