টাইমস অফ ইযরায়েলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, লাপিদ তার দল ইয়েশ আতিদের একটি উপদলের বৈঠকে সোমবার ওই মন্তব্য করেন।
লাপিদের অভিযোগ, নেতানিয়াহুর সরকার বিচারবিভাগে বিতর্কিত সংস্কার চেষ্টা করে অ্যামেরিকার সঙ্গে ইযরায়েলের জোট ধ্বংস করছে।
চ্যানেল টুয়েলভ নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে লাপিদ বলেন, ‘বর্তমান ইযরায়েলি সরকার আমাদের এক ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের শাসন ব্যবস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটাচ্ছে তারা। কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নেতানিয়াহু সরকার।’
তিনি দাবি করেন, এই সরকার জাতিকে ‘দুই ভাগে বিভক্ত’ করে দিচ্ছে।
লাপিদ বলেন, ‘অ্যামেরিকানরা বলছে এই সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো পারস্পরিক মূল্যবোধ নেই। এমন বক্তব্য অ্যামেরিকা-ইযরায়েল সম্পর্কের প্রতিটি পর্যায়ে প্রভাব ফেলে। ইযরায়েলের স্বার্থে অ্যামেরিকার স্বেচ্ছায় স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে দেয়াতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে নেতানিয়াহুর একক সিদ্ধান্ত।
‘অ্যামেরিকা কখনোই ইযরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে কট্টর সরকারের সহযোগিতা দিতে নিজ স্বার্থে ছাড় দিয়ে এগিয়ে আসবে না।’
তিনি আরও দাবি করেন, ইযরায়েল ও অ্যামেরিকার ইতিহাসে নেতানিয়াহুর বর্তমান সরকার পারস্পরিক সম্পর্কের সর্বনিম্নস্তরে রয়েছে।
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মার্চে বলেছিলেন, ইযরায়েলের বর্তমান সরকারের প্রস্তাবিত বিচারিক সংশোধন নিয়ে দেশটিতে কয়েক মাসের বিক্ষোভ নিয়ে তিনি ইযরায়েলের গণতন্ত্র সম্পর্কে ‘বেশ উদ্বিগ্ন’।
বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন যে তারা এটি সরাসরি পাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তারা এই রাস্তায় চলতে পারে না।’
জো বাইডেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইযরায়েল একটি সার্বভৌম দেশ। তারা ‘বিদেশের চাপের ভিত্তিতে নয়’ বরং তার জনগণের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নেয়।
ইযরায়লের ন্যাশনাল সিকিউরিটি মিনিস্টার ইতামার বেন-গভির বলেছেন, ‘বাইডেনকে বুঝতে হবে যে ইযরায়েল অ্যামেরিকান পতাকায় কোনো তারকা নয়। আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমি আশা করি অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট এটি বুঝবেন।’
অবশ্য সবকিছু ছাপিয়ে জো বাইডেন নেতানিয়াহুকে সোমবার হোয়াইট হাউযে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তিনি চলতি বছরের শেষ দিকে নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউয সফরের মাধ্যমে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরালো করার আশা প্রকাশ করেছেন।