অ্যামেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আদেশের সাংবিধানিকতার বিষয়ে শুনানিতে শুক্রবার রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের আদেশ অনুযায়ী, যেসব মা-বাবা অ্যামেরিকায় অবৈধ কিংবা অস্থায়ীভাবে আছেন, তাদের সন্তান অ্যামেরিকার নাগরিক নন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এপি জানায়, নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের আদেশকে আটকে দিয়ে নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে রিপাবলিকান প্রশাসনের আপিল শুনবেন বিচারপতিরা।
বার্তা সংস্থাটি জানায়, এ সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে যুক্তিতর্ক হবে বসন্তে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আদেশ আসতে পারে গ্রীষ্মের শুরুর সময়ে।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে আদেশ দেন ট্রাম্প।
অভিবাসনের বিরুদ্ধে তার প্রশাসনের বৃহত্তর কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
ট্রাম্পের নির্বাহী সে আদেশ দেশের কোথাও বাস্তবায়ন হয়নি।
অ্যামেরিকায় অভিবাসী আগমন সীমিত করতে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্য তৎপরতাগুলোর মধ্যে আছে কয়েকটি শহরে অভিবাসন আইন বাস্তবায়ন অভিযান বৃদ্ধি ও শান্তিকালে প্রথমবারের মতো আঠারো শতকের এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট ব্যবহার।
এ ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আদালতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে রিপাবলিকান প্রশাসন। জরুরি আদেশগুলোতে মিশ্র বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ট্রাম্পের প্রথম কোনো অভিবাসনবিষয়ক নীতি হিসেবে চূড়ান্ত রায়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আছে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি।
অ্যামেরিকান সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, অ্যামেরিকার মাটিতে জন্মগ্রহণকারী যে কেউ দেশটির নাগরিক। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো বিদেশি কূটনীতিক ও বিদেশি দখলদার বাহিনীর সন্তানরা।
ট্রাম্পের আদেশ বাস্তবায়ন হলে অ্যামেরিকায় বিগত ১২৫ বছরের বেশি সময় ধরে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে বোঝাপড়া পাল্টে যাবে।