দারিয়া থ্রিয়েপোভা নামের ২৬ বছর বয়সী ওই নারীকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছে রাশিয়ান ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি (আরআইসি)।
দেশটির সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, থ্রিয়েপোভা সেন্ট পিটারসবার্গের একটি ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইউক্রেনে গত বছর যেদিন রাশিয়া পুরোদমে অভিযান চালায়, সেদিন থ্রিয়েপোভাকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিছুদিন পর অবশ্য ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
আরআইসির ধারণা, যুদ্ধের পক্ষে অবস্থানের কারণে তাতারস্কিকে হত্যা করা হয়েছে। এতে জড়িত থ্রিয়েপোভা।
সেন্ট পিটারসবার্গের একটি ক্যাফেতে রোববার বোমা হামলায় নিহত হন এই প্রভাবশালী ব্লগার। আহত হন অন্তত ৩০ জন।
ঘটনাটিকে ‘হাই প্রোফাইল মার্ডার’ বলে দেখছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার দিন ওই ক্যাফেতে দেশাত্ববোধক কোনো সভা চলছিল। সভার অতিথি বক্তা ছিলেন তাতারস্কি।
বিবিসি জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও ফুটেজ ছাড়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে বাদামী রঙয়ের কোট পড়া এক নারী হাতে কার্ডবোর্ডের একটি বাক্স নিয়ে ক্যাফেতে প্রবেশ করছেন। আরেকটি ফুটেজে দেখা গেছে, ওই নারী তাতারস্কির হাতে একটি মুর্তি তুলে দিচ্ছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই মুর্তিতেই বোমা লাগানো ছিল।
তাতারস্কির আসল নাম ম্যাক্সিম ফোমিন। ইউক্রেন যুদ্ধের তিনি রাশিয়ার সমর্থক ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সামনের সাড়িতে থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতির তথ্য সংগ্রহ ও স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার করতেন তিনি।
তবে তার জন্ম ইউক্রেনে। তিনি জানিয়েছিলেন, একসময় ডাকাতির দায়ে তিনি জেল খেটেছিলেন। জেলে থাকা অবস্থায় রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। জেল থেকে বের হয়ে তাতে যুক্তও হয়েছিলেন।
পরে ক্রেমলিনপন্থী মিলিটারি ব্লগার কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সময় এই কমিউনিটি বেশ সরব হয়ে ওঠে।
যুদ্ধের সমর্থক ব্যক্তির উপর হামলার এই ঘটনা রাশিয়ায় দ্বিতীয়বার ঘটল। মস্কোতে গত আগস্টে গাড়ি বোমা হামলায় নিহত হন উগ্র জাতীয়তাবাদী এক ব্যক্তির মেয়ে ডারইয়া ডুগিনা।
সে সময় একে ইউক্রেনের সিক্রেট সাভিসের কাজ বলে অভিযোগ করেছিল রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস।
তবে তাতারস্কিয়ের ওপর হামলার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।