মর্গের দেহাবশেষ বেচতেন তারা

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১৫ ২০২৩, ১২:৩৬

(বাঁ থেকে) অভিযুক্ত সেড্রিক লজ, ডেনিস লজ, ক্যাটরিনা ম্যাকলিন ও  জশুয়া টেলর। ছবি কোলাজ: টিবিএন

(বাঁ থেকে) অভিযুক্ত সেড্রিক লজ, ডেনিস লজ, ক্যাটরিনা ম্যাকলিন ও জশুয়া টেলর। ছবি কোলাজ: টিবিএন

  • 0

মানব দেহাবশেষ বিক্রির অভিযোগে হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মর্গের ম্যানেজারসহ আরও তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করা হয়েছে।

মর্গের ম্যানেজার সেড্রিক লজের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল স্কুলে দান করা মরদেহের ‘মাথা, মগজ, চামড়া ও হাড়’ চুরি করে অনলাইনে বিক্রি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলা নথি অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত লজ ও তার স্ত্রী ডেনিস পেনসিলভেনিয়া ম্যাসাচুসেটসের ক্রেতাদের কাছে মরদেহ থেকে চুরি করা বিভিন্ন অঙ্গ বিক্রি করেছেন।

প্রসিকিউটররা অভিযোগে জানান, লজ মেডিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য দান করা মরদেহ টুকরো টুকরো করেন। কাজটি বিনা বাধায় পরিচালনার জন্য তিনি স্কুলের ‘অ্যানাটমিক্যাল গিফটস প্রোগ্রাম’ এর ম্যানেজার পদের সুযোগ নেন।

ইউএস অ্যাটর্নি অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সেড্রিক লজ প্রায়ই অন্যদের (ক্রেতাদের) হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মর্গে প্রবেশের অনুমতি দিতেন। তারা দেহের কোন অংশ কিনতে আগ্রহী তা বেছে নেয়ার সুযোগ দিতেন।’

অভিযোগ অনুসারে, ম্যাসাচুসেটসের সালেমের ক্যাটরিনা ম্যাকলিন ও পেনসিলভেনিয়ার ওয়েস্ট লনের জশুয়া টেলর এসব দেহাবশেষের ক্রেতা ছিলেন।

ম্যাকলিন ২০২০ সালের অক্টোবরে ৬০০ ডলারে মুখের বিচ্ছিন্ন অংশ কেনেন। ধারণা করা হয়, তিনি চামড়ায় ট্যান করার জন্য ওই দেহাবশেষ কিনে নেন।

ম্যাকলিন ‘ক্যাটস ক্রিপি ক্রিয়েশনস’ নামে একটি দোকানের মালিক। দোকানটির সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে দেখা যায়, ম্যাকলিন রক্তে ভেজা ভৌতিক পুতুল বিক্রি করেন। তবে সেসব পুতুলে প্রকৃত মৃতদেহের অঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অভিযোগের নথিতে আরও বলা হয়, ম্যাকলিন তার দোকানে মানুষের দেহাবশেষ সংরক্ষণ ও বিক্রি করেছেন।

পেনসিলভেনিয়ার টেলর চার বছরে চুরি করা মৃতদেহের বিভিন্ন অংশ কিনতে ৩৯টি ইলেকট্রনিক ট্রানজেকশনের মাধ্যমে লজকে প্রায় ৩৭ হাজার ডলার দিয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগের নথিতে বলা হয়েছে, একটি পেপ্যাল মেমোর গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্সে দেখা যায় ‘হেড নাম্বার সেভেন’ কেনার জন্য তিনি ১ হাজার ডলার দিয়েছেন।

অ্যামেরিকার অ্যাটর্নি জেরার্ড এম ক্যারাম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কিছু অপরাধ ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরে। মানব দেহাবশেষ চুরি ও পাচার আমাদের মনুষ্য পরিচয়ে আঘাত হানে।’

নিউ হ্যাম্পশায়ার ফেডারেল কোর্টহাউজে বুধবার লজ ও ডেনিসকে হাজির করা হয়।

চার আসামিকেই ষড়যন্ত্র ও চুরি করা পণ্য পরিবহনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রত্যেকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন