সিনেমা মুক্তির আগে প্রচারে ব্যস্ত পুরো দল। আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিনেমার প্রোডাকশন ডিজাইনার জানিয়েছেন, সিনেমার সেট তৈরিতে এতো পরিমাণে গোলাপি রঙের ব্যবহার হয়েছে যে বাজারে সাময়িক স্বল্পতা দেখা দিয়েছিল।
বার্বির প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন স্যারাহ গ্রিনউড। প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস ও অ্যাটোনমেন্টের মতো সিনেমার সেট ডিজাইন করে ছয়টি অস্কার মনোনয়ন পেয়েছেন গ্রিনউড।
তিনি জানান, সিনেমার পরিচালক গ্রেটা গারউইগের চাহিদা ছিল উজ্জ্বল বর্ণের গোলাপির ব্যবহার। চাহিদা মতো পুরো সেটা রঙ ব্যবহারের পর এক পর্যায়ে ‘আর কোথাও গোলাপি রঙ পাওয়া যাচ্ছিল না’ বলে উল্লেখ করেন গ্রিনউড।
সিএনএনকে করা এক ইমেইলে রঙের কোম্পানি রসকোর মার্কেন্টিং ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন প্রাউড রঙ স্বল্পতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি অবশ্য যোগ করেন যে, শুধু সিনেমায় অনেক বেশি গোলাপি ব্যবহার নয় অন্য কয়েকটি কারণেও রঙের স্বল্পতা তৈরি হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘সিনেমার সেটগুলো এমন একটা সময় তৈরি করা হচ্ছিল যখন আমাদের বৈশ্বিক সরবরাহে ঘাটতি চলছিল। আমাদের কাছে যা ছিল সবটাই তাদের দিয়ে দেয়া হয়েছে। সিনেমার কেমন লাগছে সেটা দেখার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।’
বাচ্চাদের কাছে আবেদনের জন্য রঙের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বার্বির পরিচালক গারউইগ বলেন, ‘শিশুতোষ বিষয়টা ধরে রাখাটা ছিল মূল ব্যাপার। গোলাপি রঙটাকে আমি চাচ্ছিলাম যেন উজ্জ্বল হয়, সবকিছু যেন মনে হয় একটু বেশি বেশি। বাস্তবে বার্বি ল্যান্ডের একটা বিকল্প তৈরি করতে চাচ্ছিলাম আমি।’