২৬ শে মার্চ, স্বাধীনতা দিবস
মার্চ ২৫ ২০২৩, ১৮:১১
- 0
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, তিন মিলিয়ন শহীদের রক্তের বিনিময়ে, অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
স্বাধীনতা শব্দের সঙ্গে মিশে আছে প্রতিটি জাতির আজন্ম আকাঙ্ক্ষা, আবেগ ও ভালোবাসা। বাঙালির জীবনে অন্যায়, অত্যাচারের শেকল ভাঙতে, কাঙ্ক্ষিত সেই স্বাধীনতার ঘোষণা আসে, ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ।
বাঙালি জাতি, পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়েছে বহুবার। পলাশীর প্রান্তরে ব্রিটিশদের কাছে, বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। ওই অন্ধকার ছিল প্রায় ২০০ বছর। ১৯৪৭ সালে বাঙালি স্বাধীনতা পেলেও, ব্রিটিশদের সুদীর্ঘ শোষণের ইতিহাস, “শেষ হইয়াও যেন হইলো না শেষ”। কেবল, নাম পরিবর্তন করে, ব্রিটিশদের জায়গা নিল পশ্চিম পাকিস্তান।
পশ্চিম পাকিস্তানের চলা শোষণ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু হতেও খুব একটা সময় লাগেনি। সময়ের পরিক্রমায় আসে একাত্তর। নানা কৌশলে বাঙালিকে দমাতে ব্যর্থ হয়ে, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে নিরীহ ঘুমন্ত মানুষের ওপর বর্বর হামলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী।
বাঙালি হত্যার সেই, “অপারেশন সার্চলাইট” সংগঠিত করেও ক্ষান্ত হয়নি তারা। সেই সঙ্গে, গ্রেপ্তার করে, সর্বকালের, সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে।
তবে গ্রেপ্তারের কিছু আগেই, ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘোষণায় লেখা ছিল, “এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সেনাটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক”।
২৬শে মার্চের, স্বাধীনতার এই ঘোষণার মাধ্যমেই, নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়ায় বাঙালি। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, তিন মিলিয়ন শহীদের রক্তের বিনিময়ে, অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। জন্ম হয় স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের।