বাইডেন প্রশাসন সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীর প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর করেছে আইন। নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অভিবাসনের আবেদন করা হাজারো মানুষ সীমান্তে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
নতুন নীতিতে অ্যামেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে প্রবেশকারী অভিবাসীরা অন্য কোনো দেশের (মেক্সিকো) কাছে শরণার্থী মর্যাদা না চাইলে অ্যামেরিকায় সুরক্ষার আবেদন করতে পারবে না।
সপ্তাহের শুরুতে টাইটেল টুয়েন্টি ফোরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইউএস বর্ডার প্যাট্রোল একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ১০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী সীমান্তে আশ্রয় নেয়ার কথা জানিয়েছে। তাদের সামাল দিতে সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে অ্যামেরিকান সীমান্তের কয়েকটি শহরের মেয়র।
মেক্সিকান সীমান্তের শরণার্থী শিবিরে অ্যামেরিকায় আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীদের যাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে।
অ্যানা পাবন নামের এক অভিবাসী বলেন, তিনি জানুয়ারিতে ভেনেজুয়েলা থেকে পালিয়ে এসেছেন। অ্যামেরিকায় আশ্রয় চেয়ে বারবার আবেদন করেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাননি। পরিবার নিয়ে হাজারো অভিবাসীর মাঝে দুর্বিষহ দিন পার করছেন ।
মাসের পর মাস টাইটেল টুয়েন্টি ফোরের মেয়াদ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় মেক্সিকান সীমান্তে ঘাঁটি গেড়েছেন লাখো অভিবাসী। বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন সহযোগিতা ও আবেদনের জন্য অ্যাপের সার্ভারেও সংযোগ পাচ্ছেন না তারা।
এক অভিবাসী বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা নতুন করে আশা করি আগামীকাল এটি কাজ করবে। তবে এরপর যা পাই তা হলো ত্রুটি থাকার বার্তা।’
অপেক্ষারত অভিবাসীরা মানবিক ও মৌলিক চাহিদার অভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি অ্যালেজ্যান্ড্রো ম্যায়র্কাস অভিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার জীবন এবং আপনার জীবনের সঞ্চয়গুলোকে শুধু অ্যামেরিকায় পৌঁছাতে শেষ করে ফেলার ঝুঁকি নেবেন না। আপনি এখানে আসবেন কিনা এবং কখন আসবেন তা নিশ্চিত নয়।’