
অর্থনীতিবিদ, সংশ্লিষ্টদের ধারণা
ভারতে বেশি পরিমাণে কাজ স্থানান্তর করবে অ্যামেরিকার কোম্পানিগুলো

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০ ২০২৫, ২২:০১

ভারতের বেঙ্গালুরুর অফিসে ২৪ সেপ্টেম্বর কর্মরত ‘এলটিআইমাইন্ডট্রি’ নামের সেবা রপ্তানিকারক কোম্পানির কিছু কর্মী। ছবি: রয়টার্স
- 0
কোম্পানিগুলো আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে কাজ দক্ষিণ এশিয়ায় স্থানান্তর করার ফলে প্রবৃদ্ধি হবে গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার তথা জিসিসিগুলোর।
বিদেশি কর্মী নিয়োগের ভিসা কর্মসূচি এইচ-১বি প্রাপ্তির ওপর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কড়াকড়ির ফলে অ্যামেরিকার কোম্পানিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভারতে স্থানান্তর ত্বরিত গতিতে হবে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও শিল্পের অভ্যন্তরীণ লোকজন।
কোম্পানিগুলো আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে কাজ দক্ষিণ এশিয়ায় স্থানান্তর করার ফলে প্রবৃদ্ধি হবে গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার তথা জিসিসিগুলোর।
কোনো একটি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ একটি ইউনিট জিসিসি, যেটি বহুজাতিক কোনো কোম্পানির হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি, অর্থ, মানবসম্পদ এবং গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ করে থাকে।
বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি ভারতে এক হাজার ৭০০ জিসিসি আছে, যে সংখ্যাটি বিশ্বজুড়ে এ ধরনের ইউনিটের অর্ধেকের বেশি। ইউনিটগুলো শুরুতে প্রযুক্তিগত সাপোর্ট শুরু করলেও বর্তমানে বিলাসবহুল গাড়ির নকশার ড্যাশবোর্ড থেকে ওষুধ উদ্ভাবনের মতো উচ্চমূল্যের উদ্ভাবনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এগুলো।
কর্মস্থলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা এআই ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং ভিসার ওপর বর্ধিষ্ণু প্রতিবন্ধকতা অ্যামেরিকার কোম্পানিগুলোকে শ্রম কৌশল পুনর্বিন্যাসে তাড়িত করছে। সে ক্ষেত্রে স্থিতিশীল কেন্দ্র হিসেবে সামনে আসছে ভারতের জিসিসিগুলো।
এ বিষয়ে বহুজাতিক সার্ভিস নেটওয়ার্ক ডেলোইট ইন্ডিয়ার অংশীদার ও জিসিসি শিল্প নেতা রোহান লোবো জানান, এ ধরনের মুহূর্তের জন্য অনন্যভাবে তৈরি করা হয়েছে জিসিসিগুলোকে।
তার ভাষ্য, কিছু অ্যামেরিকার কোম্পানি যে তাদের জনবলের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে নতুন করে যাচাই করে দেখছে, সে বিষয়ে তিনি অবগত।
লোবো জানান, কাজ স্থানান্তরের পরিকল্পনা হচ্ছে। বেশি কাজ হচ্ছে আর্থিক সেব ও প্রযুক্তি খাতে।
তিনি জানান, জিসিসিগুলো আরও কৌশলগত, উদ্ভাবনমুখী সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে এইচ-১বি ভিসার নতুন আবেদনকারীদের জন্য বার্ষিক বিদ্যমান ফি দুই থেকে পাঁচ ডলার থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ এক লাখ ডলার করেন। এটি অ্যামেরিকার সেসব কোম্পানির ওপর চাপ বাড়ায়, যারা কর্মস্থলে দক্ষতার অভাব পূরণে বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল।
অ্যামেরিকার সিনেটররা সোমবার এইচ-১বি ও এল-১ ভিসা কর্মসূচির নিয়ম কড়াকড়ি করতে একটি বিল নতুন করে উপস্থাপন করেন।
এসব আইনপ্রণেতার ভাষ্য, নিয়োগের ক্ষেত্রে ছিদ্রগুলো বন্ধের পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদের অপব্যবহার বন্ধে তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।
ট্রাম্পের ভিসা প্রতিবন্ধকতার সিদ্ধান্ত বাধার সম্মুখীন না হলে অ্যামেরিকার কোম্পানিগুলো পণ্য উৎপাদন, সাইবার নিরাপত্তা ও অ্যানালিটিকসের মতো কাজগুলো ভারতে স্থানান্তর করবে বলে মনে করছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক পরিবর্তনের ফলে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা উচ্চ দক্ষতার কাজগুলোর জিসিসিতে যাওয়া নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে ফেডেক্স, ব্রিস্টল-মায়ার্স স্কুইব, টার্গেট ও লোয়ি’সকে জিসিসি স্থাপনে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান এএনএসআরের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ললিত আহুজা বলেন, জরুরি কিছু একটা করার ভাবনা তৈরি হয়েছে।