অ্যামেরিকায় অবৈধ মাদক পাচারকারী যেকোনো দেশ হামলার শিকার হতে পারে বলে বলে মঙ্গলবার হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
‘যে কেউ এটি (অবৈধ মাদক পাচার) করছে এবং আমাদের দেশে বিক্রি করছে, রয়েছে হামলার ঝুঁকিতে’, হোয়াইট হাউসে ক্যাবিনেট বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের বলেন ট্রাম্প।
কলম্বিয়া থেকে কোকেন আসার বিষয়টি উত্থাপন করা হলে ট্রাম্প উল্লিখিত মন্তব্য করেন।
রয়টার্স জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ট্রাম্পকে একহাত নেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো।
তিনি লিখেন, দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াই প্রতি ৪০ মিনিটে মাদক উৎপাদনকারী একটি ল্যাবরেটরি ধ্বংস করছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মাদক পাচারকারী সন্দেহে বিভিন্ন নৌযানের ওপর সামরিক ব্যবস্থা নেন ট্রাম্প। অ্যামেরিকার এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেকে নিহত হন।
ট্রাম্পের বিবেচনায় মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ হিসেবে ক্যারিবীয় অঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে অ্যামেরিকার সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। এর ফলে অ্যামেরিকার সাম্প্রতিক হামলার শিকার নৌযানগুলোর দেশ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েছে ট্রাম্পের। ভেনেজুয়েলার সীমান্তবর্তী দেশ কলম্বিয়া।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, অ্যামেরিকানদের হত্যাকারী অবৈধ মাদক সরবরাহের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করছেন মাদুরো। এ অভিযোগ নাকচ করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপেরও হুমকি দেন ট্রাম্প।
তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, শুধু ভেনেজুয়েলা নয়, অ্যামেরিকায় অবৈধ মাদক পাঠানো যেকোনো দেশ স্থল হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
ওই সময় কলম্বিয়ার প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনেছি কলম্বিয়া কোকেন উৎপাদন করছে, যাদের কোকেন উৎপাদন কারখানা আছে এবং সেখান থেকে তারা আমাদের কাছে কোকেন বিক্রি করছে।’
এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় থাকা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেত্রো দেশটির মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিতে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান।
ওই সময় পেত্রো হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্বকে হুমকি দেবেন না। সেটা করলে আপনি জাগুয়ারকে জাগাবেন।’
‘আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’, বলেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট।