দেশটির চিকিৎসকদের ইউনিয়ন এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির সবশেষ খবরে বলা হয়েছে, খার্তুম থেকে সংঘর্ষ আশপাশের কিছু শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
সিএনএন বলছে, সোমবার সকাল থেকে বন্ধ থাকা সুদানের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এসআরটিসি দুপুরের দিকে চালু হয়েছে। তাতে কেবল একটি ব্যানার চালানো হচ্ছে। সেখানে লেখা, ‘মিলিশিয়ারা এই অবকাঠামো ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী এসে জাতীয় সম্প্রচারের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে।‘
তবে এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি সিএনএন।
এর আগে স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যমের সদরদপ্তরে বোমা হামলা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও আরএসএফ দুপক্ষই দাবি করেছে যে সদরদপ্তর তাদের নিয়ন্ত্রণে।
রয়টার্স এসআরটিসির এক কর্মীর বরাতে জানিয়েছে, আরএসএফ স্টেশনের দখল নেয়ার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষ সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
ক্ষমতার প্রতিষ্ঠার জেরে খার্তুমে রোববার ভোর থেকে চলছে দুই পক্ষের এই লড়াই। বিভিন্ন স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দফায় দফায় বিমান হামলা ও ব্যাপক গোলাগুলিতে কাঁপছে রাজধানী।
তবে সেখানে ঠিক কি ঘটছে, কোথায় কোন বাহিনী হামলা করছে বা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এমনকি লড়াইটা শুরু কীভাবে হয়েছে- এর কিছুই সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি তথ্য দিচ্ছে এসএএফ ও আরএসএফ।
দেশটির সেনাপ্রধান হলেন প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব চলছে তারই ডেপুটি জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগলোর।
দাগলো আবার আধা সামরিক বাহিনী- আরএসএফের প্রধান। তিনি হেমেদতি নামে পরিচিত।
আরএসএফের কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘সুদানিজ জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান একজন উগ্র ইসলামিস্ট। তিনি সাধারণ মানুষের দিকে বোমা ছুড়ছেন। তার সেনাবাহিনী নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযান চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে, তার অপরাধ কার্যক্রম বন্ধে হস্তক্ষেপ করতে হবে।‘
দাগলো জানান, তার বাহিনী সুদানের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অগ্রসর নিশ্চিত করতে লড়াই করছে।
সিএনএন জানিয়েছে, আরএসএফ সদস্যদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার কথা বলেছে এসএএফ।
বাহিনীটি দাবি করেছে, আরএসএফ কেবল একজন ব্যক্তির উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে। তা না করে সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়ে দেশের সেবা করতে আরএসএফ সদস্যদের প্রতি বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ওমর আল বাশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যূত করতে ও ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে একযোগে কাজ করে এই দুই বাহিনী।
এরপর বিভিন্ন সময় বেসামরিক শাসন পুনরূদ্ধারের নানা পরিকল্পনায় দ্বিমত দেখা দেয়া দুই বাহিনীর মধ্যে, যা পরে বিরোধে পরিণত হয়।