
নিউ ইয়র্কে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে গার্ড অব অনার এনওয়াইপিডির

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯ ২০২৫, ১০:৫৯ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৫ ২০২৫, ২০:০২
.jpg)
নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের। ছবি: সিএনএন
- 0
অনাগত সন্তানের মুখ আর দেখা হলো না বাংলাদেশি অ্যামেরিকান পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের।
নিউ ইয়র্ক সিটির মিডটাউন ম্যানহাটনে সোমবার এক বন্দুক হামলায় নিহত হন এনওয়াইপিডির মেধাবী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। এছাড়া এ ঘটনায় আরো ৩ জন সাধারণ মানুষও নিহত হন।
আত্মঘাতী হামলাকারীকে প্রাথমিকভাবে এনওয়াইপিডি মানসিক রোগী বলে মনে করছে। তবে, এ ঘটনার অধিকতর তদন্ত শুরু হয়েছে।
নিহত দিদারুলকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মেয়র এরিক এডামসসহ এনওয়াইপিডির সব ডির্পাটমেন্টের সদস্যরা।
সোমবার সন্ধ্যায় ম্যানহাটনের থ্রি হানড্রেড ফোর্টি ফাইভ পার্ক অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত চুয়াল্লিশ তলা ভবনটিতে সবাই তখন অফিস থেকে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
কিন্তু আচমকা এম ফোর বন্দুক হাতে ভবনটির ৩৩ তলায় ঢুকে পড়েন লাশ ভেগাসের বাসিন্দা সন্ত্রাসী ২৭ বছর বয়সী শেন ডেভন ট্যামুরা। এলোপাথারি গুলি করে হত্যা করেন বাংলাদেশি অ্যামেরিকান পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামসহ আরো ৩ জন সাধারণ মানুষকে। পরে অবশ্য বুলেট প্রুফ ভেস্ট পড়া হামলাকারী আত্মহত্যা করতন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে একটি নোট পান। যেখানে লেখা ছিলো ঘাতক ট্যামুরার ন্যাশনাল ফুটবল লীগ এর ব্যবস্থাপনার প্রতি অভিযোগ ছিল। এছাড়া মস্তিষ্কের রোগ ক্রনিক ট্রম্যাটিক এনসেফালোপ্যাথি (সিটিই)’ রোগে ভুগছিলেন হামলাকারী এমনটা বলছে বলছে এনওয়াইপিডি। ভবনটিতে এনএফএলের অফিসও ছিলো।
তবে এ ঘটনায় এনওয়াইপিডি হতবাক তরুণ পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে। ফোর্টি সেভেন প্রিসেন্টের কাজ করা দিদারুলের বয়স মাত্র ৩৬ বছর। তিনি নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কেসে পরিবার নিয়ে থাকতেন। বাংলাদেশের সিলেট জেলার কুলাউড়ার সন্তান দিদারুল ডিপার্টমেন্টে অত্যন্ত চৌকস অফিসার ছিলেন। তার ৭ ও ৫ বছর বয়সী দুই ছেলে আছে।
তবে, মর্মান্তিক বিষয় দিদারুলের স্ত্রী ৮ মাসের সন্তান সম্ভবা। যা মেনে নিতে পারছেন না তার স্বজনরা।
নিহত দিদারুলের লাশ হাসপাতালে আনলে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাসপাতালের সামনে ভীড় করেন পুলিশের সব ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা।
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক এডামসসহ উপস্থিত ছিলেন হাজারো মানুষ। রাস্তার দু পাশে দাড়িয়ে দিদারুল ইসলামকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় এনওয়াইপিডি। স্যালুট জানিয়ে সম্মান করেন এ বীর বাংলাদেশি অ্যামেরিকানকে।
এদিকে দিদারুলের এমন অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। তবে, ঘটনার আরো অধিকতর তদন্ত শুরু করেছে এফবিআইসহ সিটির বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।