টুইটারে বুধবার সন্ধ্যায় ভিডিও বার্তা দিয়ে তিনি নির্বাচনি প্রচারের ঘোষণা দেন। এখন প্রেসিডেন্ট হতে হলে তাকে কেবল ডেমোক্র্যাটদেরই নয়, টেক্কা দিতে হবে নিজ লাল শিবিরের এগিয়ে থাকা প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও।
টুইটবার্তায় ডিস্যান্টিস বলেন, “‘দ্য গ্রেট অ্যামেরিকান কামব্যাকের’ নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আমি অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছি।”
নিজের প্রচারে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আমাদের দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। আমরা তা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি। আমরা হাড়েহাড়ে সেটি টেরও পাচ্ছি… আপনাদের কাছে আমার প্রতিশ্রুতি হলো, আমাকে মনোনীত করলে নিশ্চিন্তে ঘড়িতে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দুপুরের সময়টি সেট করে রাখতে পারবেন। সেদিন দুপুরে ইউএস ক্যাপিটলে আমি দেশের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেব… কোনো অজুহাত দেব না, এই কাজ আমি সেরে নেবই।’
টুইটারে এর প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক ও টেক ইনভেস্টর ডেভিড স্যাক্সের সঙ্গে টুইটার স্পেইসে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে প্রার্থিতার এই ঘোষণা দেন ডিস্যান্টিস।
টেকনিক্যাল গ্লিচের কারণে ইভেন্টটি প্রায় ২৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয়। ডিস্যান্টিসের টিমের দাবি, তারপরও এই ইভেন্ট দর্শকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তার প্রেস সেক্রেটারি ব্রায়ান গ্রিফিন দাবি করেন, এক ঘণ্টায় ১ মিলিয়ন ডলার কামাই করে নিয়েছে এই ইভেন্ট।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে ডিস্যান্টিসকে। তিনি ২০১২ সালে হাউয অফ রিপ্রেজেন্টিটিভের সদস্য নির্বাচিত হন। সেনেটর হতে না পারলেও ২০১৮ সালে তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর পদ জিতে নেন।
ওই স্টেইটে তিনি বেশ কিছু আলোচিত আইন পাসে কাজ করেছেন। এসব আইনের কারণে স্টেইটে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকানা সহজ হয়েছে, স্কুলে লিঙ্গ পরিচয়ে বিধিনিষেধ এসেছে এবং গর্ভপাতের অধিকার সীমিত হয়েছে।
এসব আইনকে ‘ফ্লোরিডার ব্লুপ্রিন্ট’ আখ্যা দিয়ে ডিস্যান্টিস বলেছেন, এই ব্লুপ্রিন্ট ফেডারেল পলিসির পথপ্রদর্শক হবে।