ক্ষমতার জন্য সেন্ট মার্টিন কাউকে লিজ দেব না: শেখ হাসিনা
টিবিএন ডেস্ক
জুন ২১ ২০২৩, ১৬:২১
- 0
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ লিজ দিলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে এমন কাজ তিনি কখনও করবেন না।
দেশের সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চান না বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
ঢাকায় গণভবনে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল, কীভাবে? তখন তো গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্ট মার্টিন বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে আসতে চায়?
‘আমি এতটুকু বলতে পারি, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, আমার হাত থেকে এই দেশের কোনো সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। আর এখনও যদি আমি বলি, ওই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমাদের ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটি হবে না।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমি কাউকে খেলতে দেব না, আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই। আমার দেশের মাটি ব্যবহার করে কোনো জায়গায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, কাউকে অ্যাটাক করবে বা এ ধরনের কাজ আমরা হতে দেব না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, শান্তিপূর্ণ সহযোগিতায় বিশ্বাস করি।’
নির্বাচনীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বিরোধী দলের নানা প্রস্তাব, এখন তারা আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে খালেদা জিয়ার উক্তি ছিল, ‘পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নাই’। একবার যেটা তারাই বাদ দিয়েছে এবং এই পদ্ধতি তারাই নষ্ট করেছে। তারাই রাখেনি, সেটাকে আবার তারা ফেরত চাইছে।
“অথচ উচ্চ আদালতের রায় আছে এবং সেই মোতাবেক সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে যে একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান দ্বারাই প্রতিস্থাপিত হবেন। এর বাইরে অনির্বাচিত কেউ আসতে পারবে না। এটা উচ্চ আদালতের রায়ে আছে, সংবিধানেও আছে।”
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এ দেশে ওয়েস্টমিনিস্টার টাইপ অব ডেমোক্রেসি, ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় যে রকম নির্বাচন হয়, ঠিক সেইভাবে এখানে নির্বাচন হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই যে দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর বাংলাদেশ সুষ্ঠুভাবে চলছে, আর্থসামাজিক উন্নতি করছে, সেটিকে নষ্ট করা। দেশবাসী এটিকে কীভাবে নেবেন, সেটাই প্রশ্ন। তারা কি গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চান, অর্থনৈতিক উন্নতি চান, দেশের মানুষের কল্যাণ হোক সেটা চান, নাকি আবার সেই ২০০৭ সালের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আবার সেই জরুরি অবস্থা, ধরপাকড় সেগুলো চায়- সেটা দেশের মানুষকেই বিবেচনা করতে হবে।’