বেলগোরোডের গভর্নর ভাচেস্লাভ গ্লাডকভ জানান, ওই অঞ্চলের নোভায়া ট্যাভোলঝ্যাংকা শহরে রোববার দুই পক্ষের মধ্যে বেশ লড়াই হয়েছে।
এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, সেদেশের অধিভুক্ত দোনেৎস্কে বড় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেইন। আড়াইশ ইউক্রেইনিয়ান সেনাকে হত্যা ও ১৬টি সাজোয়া যান ধ্বংসের মাধ্যমে হামলা প্রতিহত করেছে রাশিয়ান সেনাবাহিনী।
তবে রাশিয়ার এসব দাবি বরাবরের মতোই নাকচ করেছে ইউক্রেইন। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, ‘হামলার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। এসব বানোয়াট তথ্যের ওপর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
বেশ কিছুদিন ধরে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেইন। রাশিয়াও সম্প্রতি নিজ অঞ্চলে ঘটে যাওয়া হামলার কয়েকটি ঘটনার দায় চাপিয়েছে ইউক্রেইনের ওপর।
তবে ইউক্রেইন বরাবরই বলেছে, কোনো ধরনের হুঁশিয়ারি দেয়া ছাড়াই তারা রাশিয়ার হামলার জবাব দিতে শুরু করবে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার টেলিগ্রামে পোস্ট দিয়ে বলেছে, ‘পরিকল্পনা করতে হয় নিরবে। কোনো ঘোষণা ছাড়াই আমাদের হামলা শুরু হবে।’
যুদ্ধক্ষেত্রের ফ্রন্টলাইনে এরইমধ্যে বেড়েছে ইউক্রেইনিয়ান সেনাদের তৎপরতা। সেনাবাহিনীর দাবি, বেশ কিছু জায়গা তারা দখলে নিয়েছে।
সাম্প্রতিক এসব ঘটনা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিত পাল্টা হামলা শুরু করে দিয়েছে দেশটি।
ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতের দখল নিয়ে রাখা রাশিয়ার প্রাইভেট মিলিটারি গ্রুপ ‘ওয়াগনার’ জানিয়েছে, সেখানকার উত্তরাঞ্চলের বার্খিভকা এলাকার বসতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইউক্রেইনিয়ান বাহিনী।
গ্রুপটির প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোযিন এক অডিওবার্তায় বলেছেন, ‘বার্খিভকার বসতির বেশকিছু অংশ আমরা হারিয়ে ফেলেছি। রাশিয়ান সেনারা সেখান থেকে নিরবে পালিয়ে যাচ্ছে। খুবই লজ্জাজনক ঘটনা’।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও চিফ অফ জেনারেল স্টাফ ভেলেরি গেরাসিমোভকে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে সেনাদের উৎসাহ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রিগোযিন বলেন, ‘আপনারা কিছু করুন, আপনারা নিশ্চয়ই পারবেন। না পারলে যুদ্ধে ক্ষেত্রে বড়জোর প্রাণ যাবে. তাতে অন্তত বীরের মতো মরতে পারবেন।’
ইউক্রেইনের গ্রাউন্ড ফোর্স কমান্ডার অলেক্সান্ডার সিরস্কি রোববার জানিয়েছেন, বাখমুতের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছেন তাদের সেনারা।