ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫.৬৯ শতাংশ

বাসস

মার্চ ৩০ ২০২৩, ২০:০৩

ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫.৬৯ শতাংশ
  • 0

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

এ সময়ে বাংলাদেশ সেখানে ২২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক হিসেবে নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছে।

ইউরো স্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০২২ সালে সারা পৃথিবী থেকে ইইউর পোশাক আমদানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ। প্রধানতম রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সেখানে সর্বোচ্চ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

এ বিষযে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাসসকে বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে ২০২২ সালে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেশ ভাল ছিল। কিন্তু ওই বছরের প্রথম ৬ মাস (জানুয়ারি-জুন) যেভাবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা গেছে, পরবর্তী ৬ মাসে তা অনেকটাই কমে এসেছে। এর মূল কারণ প্রথম ৬মাস ছিল কোভিড-১৯পরবর্তী সময়। যার ফলে ক্রেতারা বেশি করে তখন পোশাক কিনেছে। এছাড়া চীনে লকডাউন থাকায় তখন আমরা ভাল করেছি।’

তিনি বলেন, ‘পরবর্তী ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় পোশাকের চাহিদা কমতে শুরু করে। যার প্রভাব আমাদের রপ্তানিতেও পড়েছে। এছাড়া উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় উদ্যোক্তারা এখন ইইউতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছে।’

ইউরো স্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুসারে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন থেকেইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি বেড়েছে ১৭.১ শতাংশ। ২০২২ সালে চীন থেকে ইইউর আমদানি ছিল ৩০ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। ইইউর তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক আমদানির উৎস তুরস্ক থেকে পোশাক আমদানি ১০.০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমদানি ১১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে ইইউর আমদানি যথাক্রমে ২১.০২ এবং ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন