অবাধ সাংবাদিকতার বাধা বেড়েছে ইউরোপে: সিপিযে
টিবিএন ডেস্ক
এপ্রিল ২৬ ২০২৩, ২০:২৮
- 0
অবাধ সাংবাদিকতা চর্চায় ইউরোপজুড়ে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের। তাদের কাজে বাধা দেয়ার প্রচেষ্টা বেড়েই চলছে।
সাংবাদিকের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা অ্যামেরিকান সংস্থা দ্য কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিযে) এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে (ইইউ) আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সদর দফতর থেকে বুধবার এ সংক্রান্ত একটি বিষদ গবেষণা প্রকাশ করেছে সিপিযে।
তাতে বলা হয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কয়েক বছরে মিডিয়ার স্বাধীনতা বজায় রাখতে বেশ কিছু আইন চালু করেছে। তবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হুমকি মোকাবেলায় টেকসই সমাধান খোঁজায় তাদের কোনো অগ্রগতি নেই।
প্রতিবেদন বলছে, ‘কোনো কোনো দেশের সরকার করোনা পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। যেমন তারা সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ সীমাবদ্ধ করেছে ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য আটকে রেখেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের সময় সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেয়ার ইইউ-এর সক্ষমতা যাচাই হয়ে গেছে।‘
ইউক্রেনে গত বছর রাশিয়ার অভিযানের সময় ১০ জনেরও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আবার রাশিয়ায় থাকা সাংবাদিকদের অনেকেই মস্কোর সেন্সরশিপ আইনের কারণে তথ্য প্রকাশে বাধা পেয়েছেন।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডমের জরিপে সাংবাদিকতায় শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে নয়টিই ইউরোপিয়ান দেশ। তা সত্ত্বেও সিপিযে বলছে, ওই দেশগুলোতে সাংবাদিকতা নেতিয়ে পড়েছে।
সিপিযের ইউরোপের মুখপাত্র টম গিবসন আল জাজিরাকে বলেন, ‘সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকদের ওপর হুমকি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ইউরোপের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, সেখানে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধের চেষ্টা দিন দিন বাড়ছে। ‘
গিবসন বলেন, ‘২০১৭ সালে মালটিয সাংবাদিক ড্যাফেন কারুয়ানা ও পরের বছর স্লোভাকিয়ান সাংবাদিক য্যান কুচিয়ার হত্যার ঘটনায় ব্রাসেলসের ইইউ ইনস্টিটিউশনগুলোয় তোলপাড় হয়েছে। এরপর তারা সাংবাদিক সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে নড়েচড়ে বসেছে।
‘আমরা প্রতিদিনই দেখছি যে ক্ষমতাধররা সাংবাদিকদের হুমকিধামকি দিচ্ছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অনলাইন হয়রানি, ডিজিটাল হুমকির সংখ্যা বেড়েছে। অবাধ সাংবাদিকতায় বাধা দিতে অনেকেই স্ল্যাপ (স্ট্র্যাটেজিক ল-সুট এগেইনস্ট পাবলিক পারটিসিপেশন) আইনের সাহায্য নিচ্ছে।‘
ইইউর বেশ কিছু দেশে ‘মিডিয়া ক্যাপচার’ চলছে জানিয়ে গিবসন বলেন, ‘সরকারের কিছু ক্ষমতাধর অংশ মিডিয়াকে আর্থিক অনুদানের ফাঁদে ফেলে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকদের অবমূল্যায়ন করে তারা।‘
অবাধ সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে ইইউকে আরও জোড়ালো পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিপিযের এই মুখপাত্র।