ওডিশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশনের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২৭৫ জন নিহত হয়েছেন বলে রোববার দুপুরে জানিয়েছেন ওডিশার চিফ সেক্রেটারি প্রদীপ কুমার জেনা। আহত হয়েছেন অন্তত ৯০০ জন।
কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ের পথে থাকা করম্যান্ডেল এক্সপ্রেস ট্রেন বাহাঙ্গাবাজার স্টেশনের কাছে একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাইনচ্যুত হয়ে পাশের রেল ট্র্যাকে আছড়ে পড়ে উল্টে যায়। এরপর ওই এলাকা পেরুনো কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ব্যাঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে লাইনচ্যুত ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রোববার বলেন, ‘ইলেক্ট্রনিক ইন্টালকিংয়ের সময় ট্র্যাক পরিবর্তনের জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তদন্তের পর জানা যাবে এর পেছনে কে দায়ি ও কীভাবে তা হয়েছে।’
সংঘর্ষ এড়াতে রেলওয়ে ট্র্যাকে ট্রেনের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করার জটিল সিগন্যাল সিস্টেম হলো এই ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম।
প্রাথমিক তদন্তের বরাতে জ্যেষ্ঠ রেলওয়ে কর্মকর্তা জয়া ভার্মা জানান, করম্যান্ডেল এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে প্রথমে মূল ট্র্যাকে চলার জন্য সিগন্যাল দেয়া হয়। এরপর আবার সিগন্যাল বদলে যাওয়ায় এটি মূল ট্র্যাক সংলগ্ন লুপ লাইনে উঠে পড়ে। তখনই ঘটে সংঘর্ষ।
ভার্মা আরও জানান, ত্রুটির কারণে সিগন্যাল সিস্টেম ভুল সিগন্যাল দেয়। বিস্তারিত তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে এই ত্রুটি যান্ত্রিক নাকি এতে কোনো ব্যক্তির হাত রয়েছে।
ওডিশার ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে সেদেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। এর আগে ১৯৯৫ সালে ভারতের নয়া দিল্লিতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ৩৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।