উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজ শহরে পুলিশের নিরাপত্তাবেষ্টনির মধ্যেই খুন হন আতিক ও আশরাফ।
হত্যা ও হামলার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর সাবেক বিধায়ক আতিক ও তার ভাইকে শনিবার রাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ।
দু’জনকে কড়া পুলিশি পাহারায় হাজির করার আগেই হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন সংবাদকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াগরাজ মেডিক্যাল কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে আতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খুব কাছ থেকে পিস্তল বের করে তার মাথায় গুলি করা হয়। তার পাশে দাঁড়ানো ভাই আশরাফকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।
টেলিভিশন লাইভে দেখা যায়, আতিক ও আশরাফকে পুলিশ জিপ থেকে নামানোর পরপরই সাংবাদিকরা তাদের দিকে এগিয়ে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হাসপাতালের দিকে এগোতেই হঠাৎ তাদের গুলি করা হয়। রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আতিক ও তার ভাই।
পুলিশ জানায়, আততায়ীরা সাংবাদিক সেজেদাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘটনার পরপরই তিন ব্যক্তি পুলিশেরকাছে আত্মসমর্পণ করেন।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আতিককে গুলি করে খুন করার ঘটনায় গ্রেফতার তিন জনের নাম লাভলেশ, সানি ও অরুণ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আতিক ও আশরাফকে গুলি করার পর সানি, লাভলেশরা ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান দেন। গুলিতে এক সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
পুলিশ এখনও হত্যাকাণ্ড নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, সানি, লাভলেশ এবং অরুণ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।