ঝিলমের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার (রেভিনিউ) হাসান তারিক জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিস্ফোরণের পরপরই ভবনটি ধসে পড়ে। উদ্ধারকারী দল কিছুক্ষণের মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
ডেপুটি কমিশনার সামিউল্লাহ ফারুক জিও নিউজকে অন্তত ছয় জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহত ১০ জনকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘(উদ্ধার) প্রচেষ্টা চলছে এবং আমাদের দল এখানে উপস্থিত রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চার থেকে পাঁচ জন থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। আটকে পড়া শেষ ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো এবং পুরো জায়গাটি পরিষ্কার না করা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।’
একটি টুইটে ঝিলম পুলিশ জানিয়েছে, জেলা পুলিশ কর্মকর্তা (ডিপিও) নাসির মেহমুদ বাজওয়া উদ্ধার কার্যক্রমের তদারকি করছেন। ধ্বংসস্তূপ সরাতে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর জেলা সদর হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং চিকিৎসকসহ সব কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ভবন ধসে হতাহতের ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
এর একদিন আগে, পাঞ্জাবের সারগোধা জেলার ভালওয়াল তহসিলে একটি গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাত জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন।
দেশটিতে গত মাসে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন শিশুসহ অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে।