তিনি বলেছেন, দুই প্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্বের কারণে তাদের ফ্লাইট ছাড়া বিকল্প ফ্লাইটের সুবিধা কমিয়ে উত্তরপূর্বের গ্রাহকদের অসহায়ত্বের মুখে ফেলে ও ওই অঞ্চলে অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা দুর্বল করে তোলে।
আদালতের এমন সিদ্ধান্ত এয়ারলাইন্স দুটির জন্য এক বিরাট ধাক্কা।
তারা দাবী করেছেন, দুই এয়ারলাইন্সের কোডশেয়ার এগ্রিমেন্ট ওই অঞ্চলের ডেল্টা এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিযোগিতা করছে।
অ্যামেরিকান ও জেটব্লু ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের কিছু রুটে একে অপরকে সহযোগিতা করবে। এই চুক্তিকে তারা ‘নর্থইস্ট অ্যালায়েন্স’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে নিউ ইয়র্ক ও বোস্টনের চারটি বিমানবন্দর থেকে ৫৮টি নতুন রুট চালু করে অন্যান্য রুটে ফ্লাইট যোগ করে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রাহকদের সেবা দেয়ার জোরদাবী জানায় তারা।
ট্রাম্প শাসনামলে ২০২১ সালের শুরু দিকে চুক্তিটির বাস্তবায়ন করে প্রতিষ্ঠান দুটি। এই চুক্তির মাধ্যমে তারা নিউ ইয়র্ক ও বোস্টনের বিভিন্ন রুটের শিডিউল ও অর্জিত লভ্যাংশ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিচ্ছে।
তবে ছয়টি স্টেইট ও ডিসট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার সমন্বয়ে ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস ২০২১ সালে জোট ভাঙতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস জানায়, অ্যামেরিকান ও জেটব্লু এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতে জোট বাঁধায় অন্য কোম্পানির তুলনায় অনেক বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। তারা এই অংশীদারিত্বের ফলে টিকিটের দাম কয়েকগুন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন।
একজন অর্থনীতিবিদের বরাতে অ্যাসোসিয়েট প্রেস বলেছে, অ্যামেরিকান ও জেটব্লু প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছেড়ে জোট শুরু করায় গ্রাহকদের বছর শেষে ৭শ মিলিয়ন ডলার বেশি খরচ করতে হবে।
জেটব্লুর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, তারা ‘আদালতের সিদ্ধান্তে খুবই হতাশ’। অ্যামেরিকান এয়ারলাইন্সের সঙ্গে চুক্তিকে গ্রাহকের জন্য ‘অনেক বেশি লাভজনক’ দাবী করেন তিনি।
মামলার রুলটি আরও মূল্যায়ন করে ভবিষ্যৎ আইনি লড়াইয়ের সুযোগ খুঁজছে কোম্পানিটি।