বেলগোরোডের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বেলগোরোডের একটি প্রশাসনিক ভবনে সোমবার এ হামলা হয়। এতে তিনটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, লেগেছে আগুন। একটি গোলা পাশের কিন্ডারগার্টেনেও আঘাত হানে। সেখানে একজন নারী হাতে আঘাত পান।
এর আগে গ্ল্যাডকভ টেলিগ্রামে দাবি করেন, আন্তোনোভকা, কোজিনকা এবং গোরা-পোডল অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে গোলাবর্ষণ করে ইউক্রেইন বাহিনী।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনী, সীমান্ত পরিষেবা, ন্যাশনাল গার্ড এবং এফএসবি এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’
ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা কর্মকর্তা আন্দ্রি ইউসভের বরাতে সিএনএন জানায়, রাশিয়ান নাগরিকদের একটি দল ইউক্রেইন থেকে রাশিয়ার বেলগোরোড অঞ্চলে প্রবেশ করে গ্রেভোরন শহরে হামলা চালায়। তারা ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত; তবে রাশিয়ায় তারা হামলা চালিয়েছে নিজেদের ইচ্ছায়।
ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত বলতে পারি অপারেশনটি রাশিয়ান নাগরিকদের মাধ্যমে পরিচালিত। এটি রাশিয়ার ক্রস বর্ডার হামলার পরিণতি।’
বেলগোরোড অঞ্চলে এ হামলার দায় নিয়েছে ‘ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজিয়ন’ ও ‘রাশিয়ান ভলেন্টিয়ার কর্পস’ নামের দুটি গোষ্ঠী। এক টেলিগ্রাম পোস্টে তারা জানায়, প্রথম দল হিসেবে গ্রেভোরনে ঢুকে বেলগোরোড অঞ্চলের কোজিনকা বসতি মুক্ত করেছে তারা।
রাশিয়ান কর্মকর্তাদের দাবি অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেলগোরোড অঞ্চলে হামলা বেড়েছে।
এ মাসের শুরুতে গ্ল্যাডকভ দাবি করেন, একটি আবাসিক এলাকায় দুটি ড্রোন বিস্ফোরিত হয়ে দুটি আবাসিক ভবন ও একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই অঞ্চলে আরেকটি ড্রোন ফেলে রাশিয়ান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমস।