রামাদানকে দায়মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ১৫১ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক বা ১৬৭ হাজার ডলার দেয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
তবে বাদিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন রায়ের বিরুদ্ধ তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
৬০ বছর বয়সী তারিক রামাদানের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে জেনেভার একটি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক সুইস নারী। মামলা করা ৫৭ বছরের নারীর বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও তিনি ‘ব্রিজিত’ নামে পরিচিত।
মামলার শুনানিতে ব্রিজিতের আইনজীবী দাবি করেন, ইসলামে দীক্ষিত ব্রিজিত বারবার ধর্ষণ এবং ‘নির্যাতন ও বর্বরতার’ শিকার হয়েছেন।
তবে ইউরোপে বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার হিসেবে স্বীকৃত রামাদান তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তাকে ‘ফাঁদে’ ফেলা হয়েছে।
ফৌজদারি আদালতে বুধবার মামলাটির রায় ঘোষণা শেষ হওয়ার আগেই ব্রিজিত আদালত কক্ষ ছেড়ে যান। রায়ের পর হাস্যোজ্জ্বল রামাদানকে জড়িয়ে ধরেন অধ্যাপকের এক মেয়ে।
মি টু আন্দোলনের সময়ে ফ্রান্সে একাধিক নারী তারিক রামাদানের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। এর পরেই ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে জেনেভার আদালতে মামলা করেন ব্রিজিত। তার দাবি ছিল, ফ্রান্সে নারীদের তালা অভিযোগ তাকে এই মামলা করতে সাহস জুগিয়েছে।
যৌন হয়রানির অভিযোগে সুইস-বংশোদ্ভুত রামাদানকে ফ্রান্সে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তিনি প্রায় ১০ মাস ফ্রান্সের কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান।
মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল-বান্নার নাতি তারিক রামাদান বরাবর তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন।