ইউক্রেইন বিমান বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ওডেসা অঞ্চলের অবকাঠামো এবং সামরিক স্থাপনা। কর্তৃপক্ষ জানায়, ওডেসার পাশাপাশি দেশজুড়ে পরিচালিত রাশিয়ার হামলায় ৬৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৩৭টিকে গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেইন।
ইউক্রেইনের দক্ষিণ সামরিক কমান্ড বলেছে, হামলায় রাশিয়া কেএইচ-টোয়েন্টিটু সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে। তারা একটি শস্য ও তেল টার্মিনালে হামলা চালায়। এতে করে ট্যাংক ও বহু সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে। ওডেসার গুদামগুলোতে প্রচুর তামাকের মজুদ ছিল।
ওডেসার সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক বুধবার তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, ‘রাশিয়ার এ হামলা খুব শক্তিশালী ও ভয়ানক ছিল। এটি ছিল নারকীয় রাত।’
ইউক্রেইন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক টুইটারে বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে শস্য টার্মিনাল এবং বন্দর অবকাঠামো লক্ষ করে হামলা চালাচ্ছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ইউক্রেইনের শস্য রফতানির সম্ভাবনাকে ধ্বংস করা।
বুধবার মধ্যরাতের পরপরই ইউক্রেইনের বেশিরভাগ অংশ বিমান হামলার সতর্কতার অধীনে ছিল।
আরও পড়ুন: শস্যচুক্তি থেকে বের হয়ে ইউক্রেইনিয়ান পোর্টে রাশিয়ার হামলা
কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো টেলিগ্রামে বলেন, ‘ইউক্রেইনের জন্য বিমান হামলার রাতটি ছিল কঠিন, বিশেষ করে দক্ষিণে ওডেসার জন্য… প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী বহু ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।’
এ ঘটনায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বলেছে, তারা ক্রিমিয়ান সেতুতে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেইনের বন্দর শহরে রাতভর বোমা হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়ান নিরাপত্তা পরিষেবা এবং ইউক্রেনীয় মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেইনে রাতভর বিমান হামলার পর গোলাবারুদের একটি ডিপোতে আগুন লেগেছে।
ওডেসার তিনটি বন্দরই ইউক্রেইনের একমাত্র চালু থাকা বন্দর। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, রাশিয়ার এ রকম হামলাকে আমলে না নিয়ে বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রফতানি চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।