ফ্লাইট ডিলের ক্ষতিপূরণে শক্ত পলিসি চায় হোয়াইট হাউয
টিবিএন ডেস্ক
মে ৮ ২০২৩, ১৯:০০
- 0
অ্যামেরিকায় এয়ারলাইনসের কোনো সমস্যার কারণে গন্তব্যে যেতে না পারলে যাত্রীকে যথাযত ক্ষতিপূরণ ও তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে- এমন নিয়ম চালুর জন্য কাজ করছে বাইডেন প্রশাসন।
হোয়াইট হাউয জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ট্রান্সপোর্টেশন সেক্রেটারি পিট বুটিগিয়েগ সোমবার এই বিধান তৈরির প্রক্রিয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।
দেশটিতে গ্রীষ্মের পিক ট্রাভেল সিজন আর কয়েক সপ্তাহ পরই। তাই গ্রাহকসেবার মান বাড়ানোর জন্য এয়ারলাইনগুলোকে চাপ দিতে বাইডেন প্রশাসন এই বিধান তৈরির প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছে।
নতুন নিয়মের বিষয়ে বুটিগিয়েগ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কোনো এয়ারলাইন তার ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত করলে যাত্রীর পকেট থেকে কোনো অর্থ খরচ করতে দেয়া উচিত নয়।’
তিনি জানান, প্রথম দিকে নতুন বিধানের উদ্দেশ্য থাকবে টিকিট রিফান্ডের পাশাপাশি যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং অন্য ফ্লাইট নিতে চাইলে যাত্রীকে সেই খরচ দেয়া।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এয়ারলাইনের ফ্লাইট বাতিল হলে টিকিটের অব্যবহৃত অংশ ও বাড়তি কোনো সেবার জন্য পরিশোধ করা অর্থের রিফান্ড চাইতে পারেন যাত্রী। তবে এয়ারলাইনগুলো সাধারণত রিফান্ডের বদলে যাত্রীদের ট্রাভেল ভাউচার গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
গত গ্রীষ্মে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনার জেরে ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট একটি অনলাইন ড্যাশবোর্ড চালু করে। ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হলে ওই ড্যাশবোর্ডে গিয়ে যাত্রীরা রিফান্ড ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এয়ারলাইনগুলোর নীতি খতিয়ে দেখে। গ্রাহকসেবা উন্নয়নে এয়ারলাইনসকে চাপ দিতে এই উদ্যোগ নেয় ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ।
কংগ্রেসনাল গভর্নমেন্ট একাউন্টিবিলিটি অফিসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গত মাসে অভিযোগ উঠেছে যে এয়ারলাইনগুলো ইদানিং প্রচুর ফ্লাইট বাতিল করছে।
তবে যান্ত্রিক বিভ্রাট ও জনবল সংকটের কারণে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফএএ) ফ্লাইট শিডিউলের ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। যেমন পর্যাপ্ত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার না থাকায় সম্প্রতি এয়ারলাইনগুলোকে নিউ ইয়র্কের প্রধান বিমানবন্দরগুলোয় ফ্লাইট কমিয়ে আনতে বলেছে এফএএ।
ট্রান্সপোর্টেশন ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, সামনের ট্রাভেল সিজনে ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বের ঘটনা কমিয়ে আনতে এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে তারা কাজ করছে।
আর নতুন বিধান চালুর কথাবার্তা শুরু হওয়ায় এরইমধ্যে অ্যামেরিকার ১০টি বড় এয়ারলাইনস ফ্লাইট বাতিলের ক্ষেত্রে যাত্রীদের খাবারের জন্য নগদ অর্থ বা ভাউচার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর ৯টি প্রথম সাড়ির এয়ারলাইনস বলেছে, তারা রাতে লম্বা সময়ের জন্য আটকা পড়া যাত্রীদের থাকার খরচও দেবে।