১৫৫তম মেমোরিয়াল ডে পালনে বাইডেনের সঙ্গে যোগ দেন অ্যামেরিকার ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ও কামালা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ফুল দেয়ার আগে শহীদদের উদ্দেশে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, 'আমাদের গণতন্ত্র রক্ষায় যারা জীবন দিয়েছেন তাদের কখনো ভুলা যাবে না।
পুষ্পস্তবক অর্পণের আগে সোমবার বাইডেন হোয়াইট হাউযে ভেটেরান অরগানাইযেশন, মিলিটারি সার্ভিস, মিলিটারি ফ্যামিলি অরগানাইযেশনস, অ্যামেরিকান শহীদের পরিবারের সদস্য, সিনিয়র ডিফেন্স অফিশয়াল ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সকালের খাবার খান।
অ্যামেরিকার হয়ে বিভিন্ন যুদ্ধে প্রাণ দেয়া সাহসী সৈনিকদের স্মরণে প্রতিবছর মে মাসের শেষ সোমবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয় মেমোরিয়াল ডে। এর ধারাবাহিকতায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৫৫তম মেমোরিয়াল ডে পালন করছে অ্যামেরিকার সর্বস্তরের মানুষ।
এ দিন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সমাধি ফুল ও জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়।
অনেক সিটিতে সাঁজোয়া যানে করে বর্ণাঢ্য প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অ্যামেরিকায় মেমোরিয়াল ডে থেকেই বেসরকারিভাবে গ্রীষ্মের শুরু।
অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে অ্যামেরিকায় মেমোরিয়াল ডে পালন শুরু হয়।
বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের তিন বছর পর ১৮৬৮ সালে, ইউনিয়নের পক্ষের এক যোদ্ধা দলের সেনাপ্রধান জেনারেল জন এ. লোগান গৃহযুদ্ধে নিহত ছয় শ বিশ হাজার বা তারও বেশি আমেরিকান সৈন্যের সমাধিতে ফুল দিয়ে সম্মান প্রদর্শনের দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।
প্রথম দিকে দিবসটিকে বলা হতো ডেকোরেশন ডে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে একে ‘মেমোরিয়াল ডে’ নামকরণ করা হয়।
কংগ্রেস ১৯৭১ সাল থেকে মেমোরিয়াল ডে তে জাতীয় সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করে।