মাস দুয়েক আগে ব্যবসা হারিয়ে দেউলিয়া হয় এসভিবি। এরপর মালিকানা কিনে নেয় ফার্স্ট সিটিযেন।
এসভিবিসহ আরও দুটি অ্যামেরিকান মালিকানাধীন ব্যাংকের ব্যর্থতায় জনমনে ব্যাংকিং ব্যবসার ভীতি সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সামনে এগিয়ে আসে ফার্স্ট সিটিযেন। তবে লোকসানে চলা এসভিবি ব্যাংক এই মুহূর্তে তার বিপুলসংখ্যক কর্মীর বেতন-ভাতা দিতে অক্ষম। আর তাই অনেককে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে নতুন মালিক ফার্স্ট সিটিযেন।
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা এসভিবি কর্মীর প্রায় ৩ শতাংশকে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এসভিবির ইউনাইটেড কিংডম শাখার মালিকানাও গত মার্চে কিনে নেয় এইচএসবিসি। নামমাত্র দাম ১ ইউরোতে (১.২৫ ডলার) বিশাল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসির লন্ডনের হেডকোয়ার্টারের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করে এসভিবি।
ফার্স্ট সিটিযেনের একটি ইমেইলের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বছরের শুরুতেই এসভিবির সমস্যাগুলো তুলে ধরেন ফার্স্ট সিটিযেনের চিফ এক্সিকিউটিভ ফ্র্যাঙ্ক হোল্ডিং। এসভিবির কর্মীরাও যে এসব সমস্যার সম্মুখীন হবেন সে সতর্কতাও দিয়েছিলেন তিনি।
ইমেইলে হোল্ডিং বলেন, ‘এসভিবির কর্পোরেট কাজগুলোকে বাছাই করুন, কিন্তু খেয়াল রাখবেন গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি ব্যবসা করা কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন।’
তবে এসভিবির ভারতীয় শাখায় মালিকানা পরিবর্তনে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলে নিশ্চিত করেছেন হোল্ডিং।
এসভিবির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ১৭ টি এসভিবি অপারেশনাল শাখার মালিকানা কিনে নেবে ফার্স্ট সিটিযেন।
এ মাসের শুরুতে একটি কংগ্রেশনাল স্বীকারোক্তি বার্তায় এসভিবির সাবেক মালিক গ্রেগ বেকার গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
ক্রমবর্ধমান সুদের হার ও গ্রাহক বিনিয়োগ তুলে নেয়াকে ব্যাংকটির পতনের জন্য দায়ী করেছেন তিনি।
অ্যামেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনার রাহলিতে অবস্থিত ফার্স্ট সিটিযেন অ্যামেরিকার বৃহত্তম ফ্যামিলি কন্ট্রোলড ব্যাংক।
ফার্স্ট সিটিযেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অ্যামেরিকায় দেউলিয়া হওয়া ব্যাংকগুলোর বৃহত্তম ক্রেতা।