তিনি জানান, একটি যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে পাইলটদের প্রশিক্ষিত করা হবে। তবে প্রশিক্ষণটি অ্যামেরিকায় নয়, সম্ভবত ইউরোপে হবে। তাতে অ্যামেরিকান প্রশিক্ষকরা থাকবেন।
কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামি কয়েক মাসের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এরপর আমাদের জোটভুক্ত দেশগুলো মিলে সিদ্ধান্ত নেবে যে ইউক্রেনে কবে, কতগুলো জেট বিমান সরবারাহ করা হবে এবং কোন দেশ থেকে তা দেয়া হবে।’
রাশিয়ায় পাল্টা হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়া থেকে অ্যামেরিকা বিরত থাকবে- বাইডের প্রশাসনের এই বিবৃতির পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের আত্মরক্ষার প্রতি আমাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সে দেশের বিমানবাহিনীকে উন্নত করার এই আলোচনা হয়েছে।’
শীর্ষ ইউক্রেনিয়ান কর্মকর্তারা সম্প্রতি অ্যামেরিকার তৈরি এফ সিক্সটিন বিমানের জন্য পাবলিক লবিং ক্যাম্পেইন বাড়িয়েছেন। তারা বলেছেন, রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিরোধে জরুরিভাবে এই বিমান প্রয়োজন।
সিএনএন বলছে, নিজস্ব এফ-সিক্সটিন কিয়েভে পাঠাতে অনিচ্ছুক হলেও বাইডেন প্রশাসন ইউরোপিয়ান মিত্রদের ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা তাদের যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে রপ্তানি করতে চাইলে অ্যামেরিকা আপত্তি করবে না।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের এক মুখপাত্র চলতি সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছিলেন, বৃটেইন ও নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনের জন্য জেট কেনার এবং ইউক্রেনিয়ান পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য একটি ‘আন্তর্জাতিক জোট’ গঠন করতে চাইছেন।