চুক্তিতে সই করার সময় ইটালি ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি ও মার্ক রাটেসহ ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিবাসন মোকাবিলায় এ চুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইইউ-তিউনিসিয়া চুক্তিতে বলা হয়েছে, সীমান্তে অভিবাসীরা আইনি পন্থা মেনে প্রবেশ করতে পারবে। সেইসঙ্গে এ চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে তিউনিসিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
সাম্প্রতিক সময়ে তিউনিসিয়ায় কৃষ্ণাঙ্গ অভিবাসীরা ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল পরিবেশে সহিংস হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। তবে সেটি অস্বীকার করে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ বলেন, অভিবাসীরা তার দেশের সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে চক্রান্তে মেতেছে। এজন্য তিনি বিদেশের জন্য কাজ করা তিউনিশিয়ানদেরকে দোষারোপ করেন।
এদিকে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে তিউনিসিয়া ছেড়ে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন দেশটির অনেকে।
অভিবাসনের বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে সাঈদ বলেন, তার দেশ অভিবাসীদের জন্য যতটুকু সম্ভব করেছে।
এর আগে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে তিউনিশিয়াকে ১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিয়েছিল ইইউ।
মেডিটারেনিয়ান সি পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়া অভিবাসীদের প্রধান প্রস্থান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে তিউনিসিয়া। এ বছর প্রায় ৭২০০০ অভিবাসী ইউরোপে (সবচেয়ে বেশি ইটালিতে) প্রবেশ করেছে। ফলে তাদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ইইউ।