সেখানে বলা হয়েছে ২০২১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর জাতীয় নিরাপত্তার তথ্য নিজের কাছে রেখে দেয়া সংক্রান্ত ৩১টি অভিযোগ, বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের একটি, নথি বা রেকর্ড আটকে রাখার একটি, নথি বা রেকর্ড বেআইনিভাবে গোপন করার একটি, ফেডারেল তদন্তে নথি গোপন করার একটি, গোপন করার পরিকল্পনার একটি, এবং মিথ্যা বিবৃতি ও উপস্থাপনার একটিসহ মোট ৩৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে।
এই মামলায় আগামী মঙ্গলবার মায়ামির ফেডারেল কোর্টে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোর বাড়ি থেকে গত বছরের আগস্টে উদ্ধার করা হয় ক্লাসিফায়েড নথিগুলো। রাষ্ট্রীয় নথির অব্যবস্থাপনা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার প্রকাশিত ৪৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের কাছে থাকা নথিগুলোর মধ্যে অন্যতম স্পর্শকাতর ছিল ‘রাষ্ট্রের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পর্কিত’ নথি। নথিগুলোতে অ্যামেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র, অ্যামেরিকা ও এর মিত্রদের নিরাপত্তার দুর্বল দিক ও আক্রান্ত হলে অ্যামেরিকা সামরিক হামলার মাধ্যমে কীভাবে জবাব দেবে, সেসব পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয় ট্রাম্প নথিগুলো বক্সে ভরে মার-আ-লাগোর বাড়ির বেডরুম, স্টোররুম, বাথরুম ও বলরুমে রেখে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কিছু বক্স তিনি নিউ জার্সির বেডমিনস্টার গলফ ক্লাবে সরিয়ে নেন।
অভিযোগপত্র প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে ক্লাসিফায়েড নথি জব্দের ঘটনায় ট্রাম্পের পাশাপাশি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করা হয় তার একান্ত সহযোগী ওয়াল্ট নাউটাকে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাম্প।
একই দিন ট্রাম্পের দুই আইনজীবী জিম ট্রাস্টি ও জন রওলি যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘আজ সকালে আমরা ট্রাম্পের কাউন্সেল হিসেবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমরা তার এই সবশেষ মামলা বা ৬ জানুয়ারির তদন্তকাজে আজ থেকে আর ট্রাম্পের প্রতিনিধিত্ব করছি না।’
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জানিয়েছেন, তিনি নতুন লিগ্যাল টিম তৈরি করেছেন।