প্রদর্শনীটি বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নিউ ইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এ প্রদর্শনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অব্যাহত প্রচেষ্টাকে তরান্বিত করার একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।‘
প্রদর্শনীটি সফলভাবে আয়োজনে আন্তরিক সহায়তার জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাঝে গভীরভাবে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরও জোর প্রচেষ্টা চালানো দরকার।
‘আজকের এই প্রদর্শনী কেবল ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সহায়তা করবে না, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা ও অন্যান্য নৃশংস অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবার মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।‘
ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে ২৭টি আলোকচিত্র সংগ্রহ করে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর বিস্তারিত উপাখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে প্রদর্শনীতে। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রদর্শনীটি ৩১ মার্চ পর্যন্ত দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।