প্রসিকিউটররা বলছেন, মামলার তদন্তে তার কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা মিলছে না। প্রথম শুনানির দিন তাকে রীতিমতো তুলে নিয়ে যেতে হয়েছে আদালতে।
জন্মসূত্রে সিরিয়ান হানাউন গত বৃহস্পতিবার অ্যানেসির একটি পার্কে ঢুকে এক থেকে তিন বছর বয়সী চার শিশু ও দুজন প্রাপ্তবয়স্ককে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। সেখানেই পুলিশ তাকে আটক করে হেফাজতে নেয়।
আহতরা এখন অনেকটাই সুস্থ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় হানাউনের বিরুদ্ধে ছয় জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। তার সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সুইডেনে রিফিউজি স্ট্যাটাস থাকা সত্ত্বেও গত বছরের শেষ দিকে ফ্রান্সে গিয়ে তিনি শরণার্থী হতে আবেদন করেন। ইটালি ও সুইজারল্যান্ডেও তিনি আশ্রয়প্রার্থনা করেছেন বলে জানা গেছে।
সুইডেনে তার সাবেক স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী সন্তান রয়ে গেছেন।
প্রসিকিউটরা জানিয়েছেন, আটকের পর থেকে একেবারেই নিশ্চুপ ছিলেন হানাউন। তদন্তকারীদের কোনো তথ্যই দেননি। এমনকি তাদের সঙ্গে কথা বলতেই রাজি হননি। কারাগারের এক কোণায় গুটিশুটি মেরে শুয়ে-বসে দুই দিন কাটিয়েছেন তিনি।
আদালতে প্রথম শুনানির দিন হাজিরার জন্য শনিবার তাকে স্ট্রেচারে করে তুলে নিয়ে গেছেন পুলিশ সদস্যরা। এদিন বিচারক আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার তদন্ত শুরু করার ও আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসিকিউটর লিস বনেট ম্যাথিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আদালতে হাজির করার আগে হানাউনকে দেখেছেন একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি জানিয়েছেন, আসামি ঠিকঠাক আছেন। তবে তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
তদন্তে আর কোনো তথ্য না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত হামলার কারণ জানা যায়নি। তবে হানাউনের কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই বলে নিশ্চিত তদন্তকারীরা।