প্রথম দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩২৭ রান। ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় বোলারদের উপর পাল্টা আক্রমন চালান হেড। তার মারমুখী সেঞ্চুরিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ৩ উইকেটে ৩২৭ রানে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ১৪টি চারে ৯৫ রানে অপরাজিত থেকে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন স্মিথ। স্মিথের ছায়ায় দুর্দান্ত সেঞ্চুরি পেয়ে উচ্ছ্বসিত হেড। চতুর্থ উইকেটে স্মিথের সঙ্গে ৩৭০ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৫১ রানের জুটি নিয়ে হেড বলেন, ‘যখনই আমি ব্যাট করি তখনই মনে হয় আমি স্মিথের ছায়ায় আছি, তার ছায়াতলে থেকে আমি নিজের মতো খেলতে পারি কারন সব আকর্ষণ স্মিথের উপরই থাকে।’
১৫৬ বল খেলে ২২টি চার ও ১টি ছক্কায় দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজানো হেড আরও বলেন, ‘ আমাদের জুটিটি সত্যিই ভালোভাবে কাজে দিয়েছে।’
৩৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন হেড। এরমধ্যে দেশের বাইরে এই প্রথম সেঞ্চুরি করলেন তিনি। হেড বলেন, ‘আমার অর্জনে নতুন একটি মাত্রা যোগ হলো, ভবিষ্যতে এটিকে আমি সুন্দর স্মৃতি হিসেবে দেখবো।’
বোলারদের হাত ধরে শুরুটা দারুন ছিলো ভারতের। বল হাতে চতুর্থ ওভারে দলীয় ১ রানে উসমান খাজাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। কিন্তু পরবর্তীতে লাইন-লেন্থ ধরে রাখতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা।
বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রথম ১২-১৫ ওভার আমরা সঠিক জায়গায় বোলিং করেছি। কিন্তু পরের দিকে আমরা লাইন-লেন্থে বোলিং করতে পারিনি।’
আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ের এক নম্বর বোলার অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দিয়েই একাদশ সাজায় ভারত। অশ্বিনের বাদ পড়া নিয়ে মামব্রে বলেন, ‘একজন চ্যাম্পিয়ন বোলারকে বাদ দেয়াটা সবসময় খুব কঠিন সিদ্ধান্ত। কিন্তু সকালের কন্ডিশন দেখে আমি ভেবেছিলাম, অতিরিক্ত পেসার থাকলে উপকার পাওয়া যাবে।’