ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি ও ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক ম্যাগডালেনা জেরনিকা-গয়েটজ বোস্টনে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর স্টেম সেল রিসার্চের বার্ষিক সভায় বুধবার এই সিনথেটিক ভ্রূণ তৈরির কথা জানান। তিনি বলেন, তাদের গবেষণাটি সুপরিচিত একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশের কথা রয়েছে।
গবেষণাগারে তৈরি প্রাথমিক দশার এই ভ্রূণকে মডেল ভ্রূণ বলছেন গবেষকেরা। কেননা এটি কেবল গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। এতে মানুষের বিকাশের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর স্পন্দিত হৃৎপিণ্ড বা মস্তিষ্ক নেই। তবে মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডটি বিকাশের পর্যায়ে রয়েছে। কৃত্রিম ভ্রূণটির ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক ভ্রূণের মতো না হলেও মানব ভ্রূণের মতোই এদের বিকাশকাল ১৪ দিন।
তবে, প্রাথমিক বিকাশের পর্যায় শেষে এদের উন্নয়নে পরবর্তী গবেষণা চলবে কি না তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।
গবেষক দলটি বলছে, তাদের এই গবেষণার লক্ষ্য নতুন কোনো জীবন তৈরি করা নয় বরং জীবন বাঁচানো। অকাল গর্ভপাতের মতো কারণগুলো কেন ঘটে থাকে তা অনুসন্ধান করতে চান তারা।
জেরনিকা বলেন, এই মডেল ভ্রূণগুলো বার বার গর্ভপাতের পেছনের জৈবিক কারণগুলো অনুসন্ধানে সহায়তা করবে।
কৃত্রিম ভ্রূণ তৈরির সঙ্গে নৈতিক প্রশ্নের সরাসরি সংঘাত রয়েছে। এছাড়া বৃটেইন ও অন্যান্য বেশিরভাগ দেশেই ল্যাবে উৎপাদিত এসব প্রাথমিক প্রাণের ক্লিনিক্যাল ব্যবহার বেআইনি। মানুষের গর্ভে এ ধরনের ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করাও নিষিদ্ধ।