ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ভারতের গুজরাটের যাখাও পোর্টে আঘাত হেনে দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিতে রাজ্যের বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়ে, ভেঙে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। গুজরাটের বেশ কিছু জেলার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গুজরাটের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্যের অন্তত এক হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট পরিমাণ জানা যায়নি।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, ঝড়ের প্রভাবে প্রাণ হারানো দুজন হলেন বাবা-ছেলে। তাদের বাড়ি ভাবনগর এলাকায়। খামারি বাবা ও ছেলে বৃষ্টিতে প্লাবিত খাদ থেকে ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে ভেসে গেছেন।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানে কর্মকর্তাদের দাবি, বিপর্যয়ের আঘাতে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলের ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আঘাত হানার আগেই দুই দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৭০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিম্নাঞ্চল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও দুর্বল হয়ে ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর প্রভাবে রাজস্থান রাজ্যে আগামী দুই দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।