টুইগা ছিল বন্দিদশায় থাকা বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত জিরাফগুলোর একটি। দ্য সিটি অফ লুফকিন জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে উইসকনসিনের রেসিন চিড়িয়াখানায় জন্ম নেয় টুইগা। ২০০৮ সালে তাকে এলেন ট্রাউটে আনা হয়। সে মানুষের যত্নে বেড়ে ওঠা সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত জিরাফের রেকর্ড গড়েছিল।
চিড়িয়াখানা পরিচালক গর্ডন হেনলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘টুইগা আমাদের অন্য দুটি জিরাফ, কেলেন (১০) এবং লুনা (১) -কে লুফকিনে তাদের নতুন বাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সহায়তা করেছিল… ওর অনুপস্থিতি খুব করে অনুভুত হবে।’
কর্মকর্তারা উল্লেখ করে বলেন, টুইগার বয়স অস্বাভাবিক ছিল। কেননা মাসাই জিরাফ সাধারণত ২৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
ওয়াইল্ড নেচার ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, টুইগা মাসাই জিরাফ। মাসাই তানজানিয়া এবং কেনিয়ার স্থানীয় একটি প্রজাতি, যার জনসংখ্যা সাম্প্রতিক দশকে অর্ধেকেরও বেশি কমে এসেছে।
আইইউসিএন রেড লিস্ট অনুযায়ী, প্রজাতিটিকে বিপন্ন বলে মনে করা হয়। মাত্র ৩৫,০০০ প্রাপ্তবয়স্ক জিরাফ বন্য অঞ্চলে অবশিষ্ট আছে বলে অনুমান করা হয়।
আরেকটি ৩১ বছর বয়সী জিরাফ মুটাঙ্গি ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার তারোঙ্গা ওয়েস্টার্ন প্লেইন চিড়িয়াখানায় মারা গিয়েছিল। ২০১৭ সালে উরসুলা নামে একটি ৩২ বছর বয়সী জিরাফ ওকলাহোমা সিটির চিড়িয়াখানায় মারা গিয়েছিল; সে সময়ে তাকে অ্যামেরিকার স্বীকৃত চিড়িয়াখানাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক জিরাফ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।